গণপতি বাপ্পার কিছু অলোকিক মন্দির
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০২ জুলাই : ভক্তি সহকারে ভগবান গণপতির পূজো করলে সমস্ত খারাপ কাজ মিটে যায় এবং জীবন সুখ আসে। গণপতি বাপ্পাকে পূজো করলে জীবনে আসা সমস্ত বাধা দূর হয় এবং শুভ সূচনা হয়। যারা গজাননের আরাধনা করেন তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পান। ভগবান গণেশকে জ্ঞান ও বিদ্যার অধিপতি বলে মনে করা হয়। গণপতি বাপ্পাকে উৎসর্গীকৃত এমন অনেক মন্দির রয়েছে, যেখানে কেবল দর্শন করলেই ইচ্ছা পূরণ হয়। কোথায় এই মন্দিরগুলি এবং কী কী পুজোর গুরুত্ব, চলুন জেনে নেই-
সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির (মুম্বাই):
মুম্বাইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে একটি।এটা বিশ্বাস করা হয় যে একজন ভক্ত একবার সিদ্ধিবিনায়কের দরজায় পা রাখলে সেখান থেকে কখনো খালি হাতে ফেরেন না। বাপ্পার আশীর্বাদে সবচেয়ে বড় সমস্যাও এক নিমিষেই মিটে যায়। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বলিউড ও টিভি ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় সেলিব্রিটিরাও খালি পায়ে বাপ্পার দ্বারস্থ হন। এই মন্দিরটি দেশের সমৃদ্ধ মন্দিরগুলির মধ্যে গণ্য হয়।
দাগদুশেঠ হালওয়াই মন্দির (পুনে):
পুনের সুন্দর নগরে বাপ্পার দাগদুশেঠ হালওয়াই মন্দির অলৌকিকতায় পূর্ণ। সারা বছরই এখানে ভক্তদের সমাগম থাকে। মনে করা হয় বাপ্পার এই মন্দিরটি দাগদুশেঠ হালওয়াই তৈরি করেছিলেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি সোনার তৈরি গণপতি বাপ্পার মূর্তিটি দেখেন, তার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং তার মনোবাঞ্ছাও পূরণ হয়। গণেশোৎসবের সময় এই মন্দিরের আভা দেখা যায়।
মতি ডুংরি মন্দির (জয়পুর):
গণপতি বাপ্পার এই মন্দিরটি রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের চাঁদপোল এলাকায়। বাপ্পাকে নিবেদিত এই মন্দিরে ভক্তদের অগাধ বিশ্বাস। মন্দিরে বাপ্পাকে মুগ ডালের লাড্ডু নিবেদন করা হয়। মতি ডুংরি মন্দিরে গণপতি বাপ্পার একটি বিশাল ৮০০ বছরের পুরনো মূর্তি রয়েছে। ছোলা নিবেদনের মাধ্যমে বাপ্পার মেকআপ করা হয়। মনে করা হয়, এই মন্দিরে নতুন কোনও যানের পুজো হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা খুবই কম হয়।
খাজরানা মন্দির (ইন্দোর):
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অবস্থিত খাজরানা মন্দিরটি গণপতি বাপ্পা পূজার জন্য খুবই বিশেষ। এই পবিত্র আবাসে ঋদ্ধি-সিদ্ধির সঙ্গে বসে আছেন গণপতি বাপ্পা। এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন মহারাণী আহিত্যভাই হোলকার। বিশ্বাস করা হয় যে কেউ এই মন্দিরে যান, বাধা বিপত্তি দূর করে তার সমস্ত দুঃখ দূর করেন এবং তার মনোবাসনাও পূরণ করেন।খাজরানা মন্দিরে সারা বছরই বাপ্পার ভক্তদের সমাগম থাকে। গজাননকে প্রচুর নৈবেদ্যও দেওয়া হয়। সম্প্রতি মন্দিরের ৪০টি দান বাক্স খোলা হয়েছে।
ইশকিয়া গণেশ মন্দির (যোধপুর):
এই গণেশ মন্দির যা দম্পতি তৈরি করে রাজস্থানের যোধপুর শহরে অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরে আবেদন করলেই দম্পতি তৈরি হয়। বিপুল সংখ্যক প্রেমিক যুগল তাদের ভালবাসা চাইতে বাপ্পার দ্বারস্থ হয়। গণপতি বাপ্পাকে তার ভালোবাসার নামে দরখাস্ত দেওয়া হয়। তাকে জোড়ি মেকারও বলা হয়। তাই এই মন্দিরের নাম ইশকিয়া গণেশ মন্দির।বুধবার এই মন্দিরে প্রেমিক যুগলের মেলা বসে।
No comments:
Post a Comment