সন্তানের এই ব্যক্তিত্ব প্রভাবিত করে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ জুন : আমাদের ব্যক্তিত্বই বলে দেয় আমরা কেমন মানুষ? ব্যক্তিত্বে ত্রুটি থাকলে সকলেই আমাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করে। আমাদের পোশাক, খাবার, বসার ও কথা বলার ধরনও ঠিক করে বলে দেয় আমাদের ব্যক্তিত্ব কেমন? কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য, একজনকে কেবল কঠোর পরিশ্রম করা উচিৎ নয়, ব্যক্তিত্বের উপরও কাজ করা উচিৎ। বর্তমানে প্রতিযোগিতার যুগ অনেক বেড়েছে, তাই সন্তানের ব্যক্তিত্বও অনেক বেশি লক্ষ্য করা হয়।
শিশু যদি বড়দের সঙ্গে অভদ্রভাবে কথা বলে, তাহলে তা শুধু লালন-পালনের ওপরই প্রশ্ন তোলে? চলুন জেনে নেই লোকজন সন্তানের ব্যক্তিত্বের কোন জিনিস লক্ষ্য করে -
কথা বলার রীতি:
কোনো ইভেন্ট, পার্টি বা প্রথম সাক্ষাতের সময়, সামনের ব্যক্তি সন্তানের কথা বলার ধরণটি লক্ষ্য করেন। উচ্চস্বরে কথা বলা বা চিৎকার করা খারাপ ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। বেশিরভাগ শিশু কথা বলার সময় চিন্তা করে না, তবে সে যদি ক্রমাগত চিৎকার করে বা চিৎকার করে কথা বলে, তবে এটি তার ব্যক্তিত্বে এক ধরণের নেতিবাচকতা গণনা করা হয়।
খাওয়ার উপায়:
অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানকে শুরু থেকেই সঠিকভাবে খেতে শেখানো। শিশু যদি যত্রতত্র প্রস্রাব করে, তাহলে এটি একটি বদ অভ্যাস। অন্যের বাড়িতে শুধু এই খারাপ অভিভাবকই নয়, সন্তানের ভাবমূর্তিও নষ্ট করতে পারে। সন্তানকে ভালো অভ্যাস সম্পর্কে শেখান যেমন ধীরে ধীরে খাওয়া দরকার। এ ছাড়া খাওয়ার সময় কথা বলাও বদঅভ্যাসের মধ্যে পড়ে।
জেদ :
শিশুর একগুঁয়ে হওয়া স্বাভাবিক, তবে সে যদি প্রতিটি পরিস্থিতিতে তার ইচ্ছা পাওয়ার চেষ্টা করে তবে এটি মোটেই ভাল কথা নয়। সামনের ব্যক্তিটি সন্তানের প্রতি বিরক্ত হতে পারে বা তার জন্য নেতিবাচকতা তৈরি করতে পারে।
মাঝে কথা বলার অভ্যাস:
কম কথা বলার এবং বেশি শোনার অভ্যাস আমাদের ব্যক্তিত্বকে শক্তিশালী করে। কিছু শিশুর অভ্যাস থাকে যে তারা বেশি কথা বলে এবং কম শোনে বা মাঝে কথা বলার অভ্যাস থাকে। এই অভ্যাস অন্যের চোখে শিশুর খারাপ ব্যক্তিত্ব নির্ধারণ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment