সাপের বিষ ও হরিণের চামড়া ও শিংসহ উদ্ধার, গ্রেফতার ২ পাচারকারী
নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিং, ৩০ জুন : শিলিগুড়িতে সাপের তেল ও বিষ, হরিণের চামড়া ও শিংসহ দুই বন্যপ্রাণী পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারিদের কাছ থেকে বন দফতরের আধিকারিকরা খবর পেয়েছিলেন যে বৈদ্যের ছদ্মবেশে অসম থেকে নেপাল ও শিলিগুড়িতে সাপের তেল পাচার করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের মূল্য কোটি টাকা।
গ্রেফতারের পর চোরাকারবারীরা প্রথমে বলে যে তারা 'বৈদ্য' বা কবিরাজের কাজ করে। চিকিৎসা সেবা দিতে তাঁরা সাপের তেল ও বিষ সঙ্গে রাখেন। পরে হরিণের চামড়া ও শিং উদ্ধার করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। বন দফতরের আধিকারিকরা তদন্ত করে আরও তথ্য পেয়েছেন। দার্জিলিং ওয়াইল্ডলাইফ র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের রেঞ্জ অফিসার দীপক রাসাইলি জানান, গ্রেফতারের পর অভিযুক্তরা নিজেদের কবিরাজ বলে পরিচয় দেয়।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনেই বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, তবে শিলিগুড়ি শহরের সমস্ত এলাকার সঙ্গে পরিচিত৷ অনেক দিন ধরেই শিলিগুড়িতে ঘুরে বেড়াতেন তাঁরা। তাঁরা শুধু শিলিগুড়ি নয়, আসাম এমনকি নেপালের অনেক এলাকায় তারা অবাধে বিচরণ করছেন বলে জানান বন দফতরের আধিকারিকরা ।
এমনকি মোবাইলের সিম কার্ডও তারা ব্যবহার করত। তাদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যা আছে। তারা আসাম থেকে সাপের তেল সংগ্রহ করে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে পাঠাত। সেখান থেকে অন্যান্য হ্যান্ডলারের মাধ্যমে চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশে তেল পাঠানো হয়।
বন আধিকারিকদের মতে, চোরাকারবারীরা আসামের জঙ্গল থেকে সাপ মেরে তেল সংগ্রহ করত এবং সাপের বিষ আহরণের কাজও করত। এমনও হতে পারে এর আগেও তাঁরা কবিরাজ নামে অন্য কোথাও এই তেল বিক্রি করেছেন।
সাপের তেলের পাশাপাশি অন্যান্য বন্যপ্রাণীর অংশ পাচারে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের সাথে বাহিনীতে যোগ দেয়। বন বিভাগের আধিকারিকরা বলছেন, আসাম, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে নেপাল পর্যন্ত একটি বড় নেটওয়ার্ক কাজ করে।
No comments:
Post a Comment