সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফ স্টাইল ডেস্ক, ০৬ জুন : যেকোনও বাবা মার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে লালন-পালন করা। যদিও বাচ্চাদের বড় করা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয়। প্রতিটি বাবা-মা সন্তানের সাফল্য চান। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সন্তান সফল হতে এবং জীবনে আরও ভালো কিছু করতে সক্ষম হওয়ার জন্য, আচরণও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে, কিছু অভিভাবক সন্তানের কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের বকাঝকা শুরু করেন। এটি সম্পূর্ণ ভুল, কারণ এটি তাদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। সন্তানদের কথা শুনে তাদের সমস্যা বুঝতে পারলে ভালো হয়। এতে শুধু তাদের আত্মবিশ্বাসই বাড়বে না, তারা সফলও হবে। আসুন জেনে নেই সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কিছু উপায়-
শিশুদের অনুভূতি বুঝুন:
যেকোনও শিশুর অনুভূতি বোঝা খুবই জরুরি। এমনকি যদি সে কাঁদে, রাগ করে বা হাসে, তার প্রতিটি আবেগকে সম্মান করতে হবে। এতে করে সে নিজেকে বিশেষ মনে করবে। এতে শুধু তাদের আত্মবিশ্বাসই বাড়বে না,বড়দের প্রতি তার আস্থাও বাড়বে, যা হবে ইতিবাচক শক্তির উৎস।
তাদের প্রতি ভালোবাসা দেখান:
বাবা-মায়ের নরম স্বভাব শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাথায় রেখে, বাবা-মায়েরা কখনই তাদের সন্তানদের সামনে এমন কিছু করবেন না, যার কারণে তারা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে। যখনই প্রয়োজন সন্তানদের প্রতি ভালবাসা দেখান। অনেক উপায় হতে পারে, যেমন বাইরে যাওয়ার আগে তাদের কাছে 'ভালোবাসি তোমাকে' বলা। এটি বন্ধনকেও মজবুত করবে।
বাচ্চাদের কথা শোনা দরকার:
সাধারণত দেখা যায় অনেক বাবা-মা তাদের কথা না জেনে এবং না বুঝেই তাদের সন্তানদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন। এতে করে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। এই কারণেই শিশুদের কথা শোনা এবং বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের কেবল ভাল বোধ করে না, তাদের আত্মবিশ্বাসীও করে তোলে।
বাচ্চাদের প্রশংসা করুন:
বাচ্চাদের উপর রাগ করা কিছুটা ন্যায়সঙ্গত, তবে এটি সবসময় করা উচিৎ নয়। এতে করে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং সফলতার পথ বন্ধ হতে থাকে। তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সবসময় বাচ্চাদের প্রশংসা করুন। প্রতিটি শিশুই প্রশংসিত হতে চায়। ছোটখাটো বিষয়েও তার প্রশংসা করলে তার ভালো লাগবে।
একসাথে খাবার খান:
বাবা-মায়ের জন্য তাদের সন্তানদের সাথে বসে খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে সন্তান ও বাবা মার মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি হয়। দুজনেই একে অপরকে বন্ধু হিসেবে দেখতে শুরু করে। যদি তার সাথে তিনবার খেতে না পারেন তবে অন্তত একটি সময় থাকা উচিৎ যখন তার সাথে বসে খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment