অ্যাসিডিটির জন্য খাচ্ছেন ওষুধ, ডেকে আনছেন নাতো বিপদকে!
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৩ জুন : অনেকেরই কিছু খাওয়া বা পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। এ কারণে পেটে নানা সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আলসার, গ্যাস্ট্রিক প্রদাহ, অম্বল এবং বদহজম। অনিয়মিত খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, অ্যালকোহল-সিগারেট খাওয়া, টেনশন, চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে টিউমার, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং পেপটিক আলসারের মতো সমস্যার কারণে প্রায়ই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়। কিছু লোক এতে অ্যাসিডিটি যুক্ত ওষুধ খায়, যা বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যাসিডিটি ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নেওয়া যাক-
অ্যাসিডিক ওষুধ এড়িয়ে চলুন:
অ্যাসিডিটি হলেই কেউ কেউ অ্যাসিডিটি এড়াতে ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। এই ওষুধগুলি সামান্য দিনের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে সেগুলি বন্ধ করার সাথে সাথেই আবার অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। তখন এসব ওষুধ খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাসিডিক ওষুধ সর্বোচ্চ ৪ সপ্তাহ খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় এসব ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতিও হতে পারে।
অ্যাসিডিটির ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
গ্যাসের জন্য বেশি ওষুধ স্মৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এসব ওষুধ অতিরিক্ত খেলে ডিমেনশিয়ার সমস্যা বাড়তে পারে। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে অ্যামনেসিয়া হতে পারে।
একটি গবেষণা অনুসারে, পেটের ওষুধ ক্রমাগত ব্যবহারে পেটে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অ্যাসিডিটির ওষুধের অতিরিক্ত খেলে রক্তে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং কিডনির স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে।
অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:
যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে ডায়েট পরিবর্তন করুন।
খাবারে মশলাদার ও ভাজা ভাজা জিনিস খাবেন না।
যতটা সম্ভব মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
খাবারে দুধ, মশলাদার খাবার এবং মাটন থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
প্রতিদিন হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন।
No comments:
Post a Comment