হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কী সত্যি নির্দিষ্ট দিন আছে!
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৯ জুন : বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক শুধুমাত্র সোমবারে হয়। এটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার। হার্ট অ্যাটাকও গৌণ নয়, গুরুতর। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ কার্ডিওভাসকুলার সোসাইটির সম্মেলনে হার্ট অ্যাটাক সংক্রান্ত এই গবেষণাগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক হার্ট অ্যাটাক হল STEMI (সেগমেন্ট এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন)। এটি সোমবার ঘটে। এটি মারাত্মক কারণ এটি শরীরের অনেক ধমনীকে ব্লক করে। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হৃৎপিণ্ডে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং তখন মৃত্যু ঘটে।
সোমবারের উত্তেজনা একটা বড় কারণ:
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার ১৩ শতাংশ বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার সবচেয়ে চাপের দিন। সোমবার অন্য দিনের তুলনায় বেশি টেনশন হয়। এ কারণে সোমবার বেশি হার্ট অ্যাটাক হয়। এর পাশাপাশি, রবিবার থেকে সোমবারের মধ্যে ঘুমের চক্র, অর্থাৎ ঘুমনো এবং জেগে ওঠার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়, যা কখনও কখনও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়।
অন্য গবেষণা কি বলে:
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা আরও বলে যে হার্ট অ্যাটাকের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সোমবার রিপোর্ট করা হয়। শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয় বলেও জানানো হয়েছে।
হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু, বিশেষ করে তরুণদের:
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অনুসারে, এদেশে প্রতি বছর যে সমস্ত লোক মারা যায় তাদের মধ্যে প্রায় ২৮.১ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। মারা যাওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স ৪৫ বছর বা তার কম।
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ:
খারাপ খাবার
ঘুমের ব্যাঘাত মানে খারাপ জীবনযাপন
তামাক ব্যবহার
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
উচ্চ রক্তচাপ
চিনি
স্থূলতা
অস্বাভাবিক কোলেস্টেরলের মাত্রা (ডিসলিপিডেমিয়া)
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্ট এবং আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস-এর চিকিৎসকরা এই গবেষণাটি করেছেন। হার্ট অ্যাটাকের ধরণ বোঝার জন্য প্রায় ২২ হাজার লোকের উপর গবেষণা করা হয়েছিল। হার্ট অ্যাটাকের কারণে এই সমস্ত লোককে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment