কবীর সম্পর্কে কী বললেন এই মহন্ত
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৫ জুন : সমস্ত সাধক ও দিব্যপুরুষদের মধ্যে সাধক কবীরের নাম অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে নেওয়া হয়। সাধক কবীর তাঁর জীবনে তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে যে বার্তাই দিয়েছেন তা অমৃতবাণীতে পরিণত হয়েছে কারণ তাঁর পবিত্র ভাষণ মানুষের হৃদয়ের সংযোগ ঘটাতে পারে। বাস্তবতা হল বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর এই কণ্ঠ গ্রামের চৌপালে এবং শহরের রাস্তায় খুব কমই শোনা যায়। এক সময় স্কুলে পড়ানো এই পবিত্র বক্তৃতা ধীরে ধীরে বই থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে কেন?
কাশীর কবীর মঠের সাথে যুক্ত মহন্ত বিবেক দাস বলেছেন যে আমরা আমাদের মঠ থেকে কবীর সাহেবের বাণীকে শুধু দেশে নয় বিদেশেও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি এবং এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তাঁর লেখা দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে কবীর সাথে সম্পর্কিত কিংবদন্তি ও সাহিত্য সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মহন্ত বিবেক দাসের মতে, যে কবির ইতিহাসের কথা বলেন, ঐতিহ্যের কথা বলেন, দর্শনের কথা বলেন, সেই কবির কোথায়, এই দুটি বইয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সমাজ ও সাহিত্যের দ্বারা অবহেলিত সাধক কবীরের বেদনা বর্ণনা করে, মহন্ত বিবেকদাস বলেছেন যে বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার কবীরের দিকে কোনও নজর দেয়নি। এ কারণেই আজ সমাজে কবীরের বক্তৃতা পড়া ও শোনা হয় না। বিবেকদাসের মতে, তাঁর কাছে কবীরদাস সম্পর্কিত এমন ২০০টি জিনিস রয়েছে যা বিশ্বের কোনও জাদুঘরে পাওয়া যাবে না। এতে সাধু কবীর দাস সহ অনেক সাধুর ব্যবহৃত জিনিস রয়েছে। যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই সব কিছু দেখতে পারে, সেজন্য সরকারের পরিবর্তে তারা কবীর ভক্তদের সহায়তায় কাশীতে একটি বড় জাদুঘর তৈরি করছে।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ কবীরের অমৃত বাণী শোনার জন্য ক্যাসেট কিনত, দুঃখের বিষয় হল কবীরের এই পবিত্র ভাষণটি তাঁর জন্মস্থান, কর্মভূমি এবং নির্বাণভূমিতে, অর্থাৎ শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে শোনা যায় না।
No comments:
Post a Comment