জানেন কী ঘোল পান করার সঠিক সময়?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৭ জুন : গরম এলেই আমরা ঘোল বা বাটার মিল্ক পান করি। আসলে এটি একটি দারুণ পানীয় যা শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি অনেক রোগ নিরাময় করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। শরীরে জলের অভাব হতে দেয় না। এ ছাড়া অনেক পুষ্টিগুণও পাওয়া যায়। যেমন পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও এতে পাওয়া যায়, যে কারণে আমরা নিজেকে সুস্থ রাখতে বাটারমিল্ক পান করি। কিন্তু গরমকালে যে কোনো সময় বাটারমিল্ক পান করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে আছেন যারা প্রতিবার খাবারের সাথে বাটারমিল্ক পান করতে পছন্দ করেন। যেমন লাঞ্চ, ডিনার। চলুন জেনে নেই বাটারমিল্ক পান করার সঠিক সময় কী এবং দিনে কতবার আমরা বাটারমিল্ক পান করতে পারি-
বাটারমিল্ক পান করার সঠিক সময় কোনটি:
দিনের যে কোনও সময় বাটারমিল্ক পান করা যায়। তবে সবচেয়ে ভালো সময় হল খাবার খাওয়ার পর। খাওয়ার পর বাটার মিল্ক পান করলে পেটের অনেক উপকার হয়। বাটারমিল্কে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা হজমে সাহায্য করে। আমাদের মেটাবলিজম উন্নত করে। তাই খাবারের পর এক গ্লাস বাটারমিল্ক পান করা খুবই ভালো।
খাওয়ার পর বাটার মিল্ক পান করলে অ্যাসিডিটি থেকেও মুক্তি দেয়। সন্ধ্যা বা রাতে বাটারমিল্ক পান করা থেকে বিরত থাকুন।এর সাথে সম্পর্কিত রোগ হতে পারে। এছাড়া ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যাও হতে পারে।এটি ঘুমকেও প্রভাবিত করতে পারে।
দিনে কতবার বাটারমিল্ক পান করা ঠিক:
যদি প্রতিদিন এক বা দু গ্লাসের বেশি বাটারমিল্ক পান করেন তবে এটি ক্ষতি করতে পারে কারণ অতিরিক্ত বাটারমিল্ক পান করলে গ্যাস, পেট খারাপ বা ফোলা হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।অন্যদিকে, প্রতিদিন খালি পেটে বাটারমিল্ক পান করলে সারা দিন উদ্যমী থাকতে পারবেন। সকালে খালি পেটে বাটার মিল্ক পান করলে গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment