পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি ভরা চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ০৯ জুন : বাংলা পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হুমকির অভিযোগের মুখে পড়তে শুরু করে শাসকদল। তবে, রাজ্য বিজেপি দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছে যে কোনও অবস্থাতেই মনোনয়ন থেকে পিছিয়ে থাকা উচিৎ নয়। সূত্র জানায়, সব বাধা উপেক্ষা করে অবিলম্বে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে নির্দেশাবলী বিজেপির পক্ষ থেকে পিডিএফ আকারে দলীয় কর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিবন্ধন চলবে ১৫ই জুন পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রের খবর, এই ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে নির্দেশ পৌঁছেছে জেলার নেতাদের কাছে।
রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনী প্রতীক দেবেন। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও আদালতে আইনি লড়াইয়ের অপেক্ষা না করেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য নেতৃত্ব আদালতের মামলাটি দেখবে বলে জানানো হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দিতে পারে না, রাজ্য নেতৃত্ব অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, মথুরাপুরের বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন যে কেউ তাদের বাড়িতে হুমকি ভরা চিঠি দিয়েছে।
হুমকি চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রার্থী দিলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে, বিজেপিকে সমর্থন করলে মামলায় ফাঁসানো হবে, এমন সব কথা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে। তবে ব্রেকিং বাংলা সেই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। দু-একদিনের মধ্যে বৈঠক করবে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপি নেতাদের বলা হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচার, সভা, দেওয়াল লিখনের ওপর জোর দিতে।
সে কারণেই নির্বাচনের আগে বিজেপি আপাতত মনোনয়ন ও আইনি লড়াই- এই দুটি বিষয়ে নজর দিচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
এবার বিরোধী দলগুলো শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি জানিয়েছে। বিরোধীরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা বলছে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি, যদিও বিজেপি এবং কংগ্রেস কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে।
No comments:
Post a Comment