ফুল বিক্রি করে লাভবান হলেন এই কৃষকরা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন : হরিয়ানায় এখন উদ্যান ফসলের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। ঐতিহ্যবাহী ফসলের পাশাপাশি এখানকার কৃষকরাও ফুল চাষ করছেন। এ কারণে কৃষকদের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। বিশেষ বিষয় হল গাঁদা, চম্পা ও জুঁইয়ের পাশাপাশি এখানকার চাষিরা প্রচুর বিদেশি ফুলও চাষ করছেন, যার বাজারে চাহিদা বেশি। আজ আমরা সোনিপতের কৃষকদের কথা জেনে নেব যারা গোলাপ চাষ করেন। এখানকার হারসানা গ্রামে প্রায় ১০০ একর জমিতে গোলাপ চাষ করছেন কৃষকরা। এ কারণে তাদের ভালো আয় হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারসানা গ্রামের কৃষকরা আগে ধান ও গমের মতো ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষ করতেন। এ কারণে তারা তেমন লাভবান হচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় কৃষকরা উদ্যান ফসল চাষের পরিকল্পনা করেন। এরপর গোলাপ চাষ শুরু করেন চাষিরা। বর্তমানে এই গ্রামে জন্মানো গোলাপ শুধু হরিয়ানায় নয় দিল্লিতেও বিক্রি হচ্ছে। রোহিত নামে এক কৃষক জানান, হোলি, দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবে ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, যার কারণে দাম বাড়ে। লাভও বেড়ে যায় বহুগুণ।
বিশেষ ব্যাপার হল এখানকার কৃষকরা রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে গোলাপের চারা নিয়ে আসে। একটি গাছের দাম ২০ টাকা। এভাবে এক একরে ফুল চাষের জন্য ৪০ হাজার টাকার গাছ কিনতে হয়। কারণ এক একরে ২০০০ গাছের প্রয়োজন হয়। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছপালা রক্ষার জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। বর্তমানে এ গ্রামের কৃষকরা গোলাপ ফুল বিক্রি করে মাসে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন। এভাবে এক বছরে গোলাপ ফুল বিক্রি করে চার লক্ষ টাকা নিট মুনাফা করছেন এখানকার কৃষকরা।
এ গ্রামের কৃষকরা বলছেন, গোলাপ চাষ করে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর শোষণও কমছে, রোজগার বাড়ছে। চাষিদের মতে, ঐতিহ্যবাহী ফসলের তুলনায় গোলাপ চাষে খরচ অনেক কম, অন্যদিকে লাভও বেশি। এক একরে গোলাপ চাষ করে আয় হয় ৪ লাখ টাকা। রোহিত জানান, গোলাপের ফসল ৬ মাসেই তৈরি হয়। এরপর আজাদপুর বাজারে গোলাপ বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন প্রতিদিন বিভিন্ন দাম পাওয়া যায়। কখনো কখনো এর রেটও প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
No comments:
Post a Comment