লাভবান হতে পারেন পুদিনা চাষ করলে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ জুন : পুদিনা একটি ঔষধি গাছ। এটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর চাটনিও আমরা খেতে পছন্দ করি। গরমে বাজারে পুদিনার চাহিদা ততই বাড়ছে। পুদিনা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গাছ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, খনিজ ও পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। পুদিনা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
কৃষকরা পুদিনা চাষ করলে ভালো আয় করতে পারে। এরকম অনেক রাজ্যে, সরকার সময়ে সময়ে পুদিনা চাষকারী কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে থাকে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে বেশির ভাগ পুদিনা চাষ হয়। পুদিনা বা পেপারমিন্টের বিশেষত্ব হল একবার চাষ করলে একে দুবার তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে লাভ দ্বিগুণ হয়।
মাটির pH মান ৬ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে ভালো:
পুদিনা চাষের জন্য, মাটির pH মান ৬ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। যে ক্ষেতে কৃষক ভাইয়েরা পুদিনা চাষ করছেন, সেখানে ভালো জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পুদিনা চাষ করতে চাইলে প্রথমে ক্ষেত কয়েকবার চষে নিন। মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার পর ক্ষেত সমতল করুন। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে শুধুমাত্র জৈব সার ব্যবহার করুন। এক হেক্টরে ১০টন গোবর থেকে তৈরি জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন। কৃষক ভাইরা চাইলে জৈব সারে ৬০ কেজি ফসফরাস, ৫০ কেজি নাইট্রোজেন ও ৪৫ কেজি পটাশও যোগ করতে পারেন। এতে পুদিনার ফলন বাড়ে।
পুদিনা শিকড় রোপণের জন্য জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস উত্তম। দেরিতে চাষ করলে ভালো ফলন হবে না। কিন্তু পুদিনার কিছু জাত আছে, যেগুলো মার্চ মাসেও চাষ করা যায়। চারা রোপণের ১০০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে পুদিনা পাওয়া যায়। এর মানে এখন এটির প্রথম ফসল সংগ্রহ করতে পারেন। অন্যদিকে, এর দ্বিতীয় ফসল ৭০ থেকে ৮০ দিন পর হয়।
No comments:
Post a Comment