জানেন কী বজরঙ্গবলীরও হয়েছিল বিয়ে?
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৭ জুন : রামভক্ত হনুমানকে কলিযুগের সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বজরঙ্গবলী চিরঞ্জীবী, যে ভক্ত তাকে সত্যিকারের মনপ্রাণে পূজোকরেন, হনুমান তাকে রক্ষা করেন। হনুমান তাঁর সমগ্র জীবন ভগবান রামের ভক্তিতে উৎসর্গ করেছিলেন। হনুমান একজন বালব্রহ্মচারী, তবে শাস্ত্র অনুসারে হনুমানেরও বিয়ে হয়েছে।
এমনকি এদেশে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে হনুমান এবং তাঁর স্ত্রীর একসাথে পূজো করা হয়। আসুন জেনে নেই বিস্তারিত-
কেন বিয়ে করেছিলেন হনুমান:
পরাশর সংহিতায় হনুমানের বিয়ের কাহিনী পাওয়া যায়। পরাশর সংহিতা অনুসারে, হনুমান সূর্যদেবকে তাঁর গুরু হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। সূর্যদেবের ৯টি বিদ্যা ছিল, যা শিক্ষতে হনুমান চেয়েছিলেন। হনুমান পাঁচটি বিদ্যা শিখেছিলেন, কিন্তু অন্য ৪টি বিদ্যা হনুমানকে দিতে গেলে সূর্যদেবের সামনে একটি সংকট দেখা দেয় কারণ এর জন্য হনুমানের বিয়ে করা বাধ্যতামূলক ছিল।
স্ত্রী কে:
এই অবস্থায় সূর্যদেব হনুমানকে বিয়ের পরামর্শ দেন। হনুমান সম্পূর্ণ শিক্ষা লাভের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তাই বজরংবলী বিয়ে করতে রাজি হন। তাঁর স্ত্রী হলেন সূর্যদেবের পরম অত্যাশ্চর্য কন্যা সুরভাচলার সাথে হনুমানের বিয়ের কথা বলেছিলেন। হনুমান এবং সুরভাচলা সম্পূর্ণ রীতিতে বিয়ে করেন। এরপর সূর্যদেব শিক্ষার ক্রম এগিয়ে নিয়ে গিয়ে হনুমানকে সমস্ত বিদ্যা দেন।
বিয়ের পরেও হনুমান ব্রহ্মচারী :
বিয়ের আগে সূর্যদেব হনুমানকে বলেছিলেন যে তিনি বিয়ের পরেও বালব্রহ্মচারী থাকবেন কারণ তাঁর কন্যা সুরভাচলা বিয়ের পরেও তপস্যায় মগ্ন থাকবে। পরম তপস্বী হওয়ার কারণে সুরভাচলা তপস্যায় মগ্ন হন। এভাবে হনুমান বিয়ে করেছিলেন কিন্তু শারীরিকভাবে তিনি এখনও ব্রহ্মচারী।
স্ত্রীর সঙ্গে পুজো করা হয় এখানে :
তেলেঙ্গানার খাম্মাম জেলায় হনুমানের একটি মন্দির রয়েছে যেখানে হনুমান তার স্ত্রী সুরভাচলাকে নিয়ে বিরাজমান।এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এখানে দর্শন করলে দাম্পত্য জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
No comments:
Post a Comment