নির্বাচনের আগে বিধায়ক ও সমর্থকদের হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া, ১২ জুন : মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং বাঁকুড়ায় বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফেটে গেছে।প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিধায়ক দিবাকর ঘরামি তার সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি প্রার্থী তালিকাভুক্ত করতে গিয়েছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা হয়। এতে এক বিজেপি সমর্থকের মাথা ফেটে যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘনিয়ে আসাতে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলীতে সিপিআই(এম) প্রার্থীর মাকপা প্রত্যাশীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আব্দুল হালিম সর্দার আহত হয়েছেন।
রবিবার রাতে কুলতলী থানার সামনে দলের পক্ষ থেকে ধর্না কর্মসূচি শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ৯ নম্বর সোনাটিকরী গ্রামের রাস্তায় তার প্রথম পথ আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর এলাকার তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে মারধর শুরু করে।
এই ঘটনায় হালিম অভিযোগ করেছেন, "আমার স্ত্রী রিজিয়া সর্দার সোমবার কুলটুলি ব্লকের লালগোড়া পঞ্চায়েতের ২২০ নম্বর নলবাড়া বুথে পঞ্চায়েতের জন্য সিপিআই(এম) প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন।" এই হামলা প্রথমে তাঁর ওপর হয়।
নির্বাচনে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সমস্ত নথিভুক্তকরণ কেন্দ্রের ১০০ মিটারের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করার ঘোষণা করেছে। পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বিরোধী দলের সমর্থকদের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। তার সমর্থকদের ওপর হামলা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শক। এদিকে বিরোধী দলগুলো মনোনয়নের সময় বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে।
মনোনয়নের সময় বাড়ানোর দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলছে। এতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১৬ই জুন পর্যন্ত মনোনয়নের তারিখ বাড়াতে প্রস্তুত, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে।
No comments:
Post a Comment