নজির গড়লেন এই কৃষক
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ জুন: ধান, গম, ভুট্টা, আখ ইত্যাদি এসব ঐতিহ্যবাহী ফসলের পাশাপাশি বিহারের কৃষকরা এখন আধুনিক পদ্ধতিতে উদ্যানজাত ফসলের চাষ করছেন। এতে শুধু কৃষকদের আয়ই বৃদ্ধি পায়নি, ফলনও বেড়েছে। এখন কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। মনোজ কুমার কুশওয়াহা এই কৃষকদের একজন। তিনি পূর্ব চম্পারন জেলার ঢেকাহানের বাসিন্দা। গাঁদা ফুলের চাষ করে তিনি সকলের সামনে নজির স্থাপন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনোজ কুমার কুশওয়াহা দুই একর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। তবে এর পাশাপাশি তারা সবজি চাষও করছেন। এ ভাবে তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। কুশওয়াহা বলেন, আমি যে জমিতে চাষাবাদ করি তা বন্যাপ্রবণ জমি। বর্ষাকালে এসব মাঠ জলে তলিয়ে যায়। এর উপরে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আগে এসব জমিতে কোনো কৃষিকাজ হতো না। তবে এখন প্রতিবছর এক মৌসুমে গাঁদা ও সবজি চাষ করেন।
মনোজের মতে, চারা রোপণের ৬০ দিন পর গাছে গাঁদা ফুল আসতে শুরু করে। এরপর প্রতি চতুর্থ দিনে ফুল ছিঁড়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, প্রতি বান্ডিল ফুল বিক্রি করে তিনি ১০,০০০ টাকা আয় করেন। এভাবে দুই একর জমিতে ফুল চাষ করে তিনি প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। মনোজ বলেছেন যে পুরো মৌসুমে তার খামারে ২০ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করে। এতে তাদের বাড়ির খরচ মেটে। মনোজ কুমার কুশওয়াহা বলেন, অন্যান্য ফসলের মতো গাঁদাতেও রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য খারাপ ফুল ছিঁড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও কালো দাগ এড়াতে এর উপর ফুল স্প্রে করা হয়।
No comments:
Post a Comment