পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকি ! গ্রেফতার ২ - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 11 June 2023

পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকি ! গ্রেফতার ২



পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকি ! গ্রেফতার ২


নিজস্ব প্রতিবেদন,কলকাতা, ১১ জুন : টেন্ডার পাস করার জন্য টিএমসি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সেক্রেটারি  হিসাবে পরিচয় দিয়ে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দু'জনের বিরুদ্ধে।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু'জনের নাম বিবাস সরকার ও বিশ্বনাথ সরকার।  প্রথমে ই-মেইলের মাধ্যমে এবং পরে পূর্ব রেলের অফিসে ফোন কলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।  পূর্ব রেলের  জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।


   টেন্ডার পাসের জন্য বিশ্বনাথ সরকারের ই-মেইল আইডি থেকে ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে হুমকিমূলক মেইল ​​পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বিবাস সরকার নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় প্রাইভেট সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল ফোন থেকে ইস্টার্ন রেলওয়ে অফিসে ফোন করে আধিকারিকদের হুমকি দেন।  তিনি চাঁদা দাবি এবং প্রতারণার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।


বিবাস সরকার অবিলম্বে ৫ কোটি ৮৭লক্ষ ৮২ হাজার ২০৩ টাকার টেন্ডার পাশ করার দাবি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।  হুমকিমূলক ই-মেইল এবং হুমকিমূলক ফোন কলের পরে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় বিবাস সরকার এবং বিশ্বনাথ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


 শুক্রবার কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা বিশ্বাস সরকার এবং শনিবার পুরুলিয়ার সাঁওতালধির বাসিন্দা বিশ্বনাথ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।  এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাঁওতালদীর আরেক বাসিন্দা তুলসীদাস সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

 পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিবাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে।  বিবাসকে ১৯শে জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।  বিবাসের মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে।  পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


 পুলিশ বলছে, টেন্ডারের নামে ৫ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা পাসের হুমকি দেওয়া হয়।  ফোন পাওয়া মাত্রই হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।  তার পর এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।  অভিষেকের ভুয়ো প্রাইভেট সেক্রেটারি এবং তার সহযোগী কাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা।  তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad