চিনি না মধু আসলে কোনটি ভালো?

চিনি না মধু আসলে কোনটি ভালো?  

ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১০ জুন : রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অগণিত উপকার দিতে পারে।  এই জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে একটি মধু, যা অনেক ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ বলে বিবেচিত হয়।  হাজার বছর ধরে মধু প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।  আজও অনেকে চিনির পরিবর্তে এটি খাওয়া ভালো বলে মনে করেন।  যেহেতু মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।  এখন প্রশ্ন হল, মধু কি সত্যিই চিনির চেয়ে কোটি গুণ ভালো? চলুন জেনে নেই-

 আসলে চিনি এবং মধুতে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ দিয়ে তৈরি।  মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়।  অথচ চিনি ডায়াবেটিসসহ শরীরে অনেক মারাত্মক রোগ দিতে পারে।  আসুন জেনে নেই চিনির চেয়ে মধু কেন ভালো-

 চিনির চেয়ে মধু কেন ভালো?

 পুষ্টি সমৃদ্ধ:

 মধুতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।  যেখানে চিনি একটি প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট, যার পুষ্টির অভাব রয়েছে।  মধুতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন উপায়ে উপকার করে, যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা, প্রদাহের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় ইত্যাদি।

 কম গ্লাইসেমিক সূচক:

চিনির তুলনায় মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, যার মানে পরিষ্কার যে এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর কোনো টেনশন নেই।

 ভাল হজম:

 মধু হজম করা কঠিন নয় কারণ এতে রয়েছে এনজাইম, যা কার্বোহাইড্রেট ভেঙে ফেলতে কাজ করে।  যখন চিনি রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে কাজ করে।

  কম-ক্যালোরি:

 মধু মিষ্টি হলেও চিনির তুলনায় এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।  আপনি যদি কম-ক্যালোরির পাশাপাশি মিষ্টি চান, তবে  মধুকে ডায়েটের অংশ করতে পারেন।

 এনার্জি বুস্টার:

 ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা মধুতে পাওয়া যায়, যা আসলে শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবে বিবেচিত হয়।  এটি সহজেই শরীর দ্বারা শোষিত হয় এবং তাত্ক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।  যেখানে চিনি শোষণ করার জন্য, শরীরকে প্রথমে এটিকে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজে ভেঙে ফেলতে হবে।

 ত্বকের জন্য উপকারী:

 মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা ব্রণ, ফোলা সমস্যা দূর করতে কাজ করে।  অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার সময় গ্লাইকেশনের সমস্যা হতে পারে।