চীনা চাষে লাভ হবে ভাল
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ জুন : কৃষকরা আবারও মোটা শস্য চাষের দিকে ঝুঁকছে। ভুট্টা, জোয়ার, বাজরার মতো মোটা শস্য চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। অনেক রাজ্যে কৃষকরা বিদেশ থেকে বীজ এনে এই মোটা শস্যের চাষ শুরু করেছেন। তারপরও জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিও মোটা শস্যের চাষকে উৎসাহিত করছে। এ জন্য কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ কিট বিতরণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিহারও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এখানে গয়া জেলায় কৃষকদের মোটা শস্য চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, গয়া জেলায় কৃষকদের রাগী চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে, এখন কৃষকরা জেলায় রাগীর পাশাপাশি চায়না ফসল চাষ করবে। বিশেষ বিষয় হল, কৃষি বিভাগ কৃষকদের জেলায় পাঁচ হেক্টর জমিতে চায়না চাষ করতে দেবে, যাতে এর বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
চীনা এক প্রকার মোটা দানা। কৃষক ভাইরাও বেলে মাটি, অনুর্বর জমি ও উঁচু জমিতে চাষ করতে পারেন। চীনার বিশেষত্ব হল এটি একটি সেচবিহীন ফসল। এটি শুধুমাত্র বৃষ্টির জলে সেচ করা হয়। চীনায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগীরা চীনা খেলে অনেক উপশম হয়। এর ক্ষীর, রুটি ও ভাত তৈরি করে খাওয়া হয়।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গয়া জেলায় সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক সময় কৃষকরা অনেক জমিতে ধান বপন করেন না। এমতাবস্থায় জলের অভাবে খালি পড়ে থাকা এসব জমিতে কৃষক ভাইরা আখ চাষ করতে পারেন। বিশেষ বিষয় হল চীনের ফসল মাত্র ২ মাসেই তৈরি হয়। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইরা চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন। এ বছর তানকুপ্পা ব্লকের মায়াপুর খামারেও তৈরি হচ্ছে চীনা বীজ।
গত বছর বৃষ্টির অভাবে গয়া জেলায় ৫৩ হেক্টর জমি খালি পড়েছিল। এসব জমিতে কৃষকরা ধান বপন করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় কৃষকরা এখন রবি বপনের আগে এসব জমিতে চীনা চাষ করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment