অদ্ভুত এই মন্দিরের রহস্য, জানলে সত্যি হবেন অবাক
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৮ জুন : রহস্যে ভরা বহু মন্দিরের মধ্যে মেহেন্দিপুর বালাজির মন্দির একটি। লোকেরা এই মন্দিরে আসে অশুভ আত্মা থেকে মুক্তির আবেদন করতে। এখানে প্রেতরাজ সরকার ও ভৈরব বাবার মূর্তি রয়েছে।
আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দির এবং তীর্থস্থান রয়েছে, যা তাদের কাহিনী, রহস্য, অলৌকিকতা এবং গুরুত্বের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক মন্দিরগুলির সাথে এমন অনেক মজার গল্প এবং অলৌকিক ঘটনা জড়িত, যা জানলে অবাক হতে হয়।
তবে শুধু ইতিহাস নয়, একবিংশ শতাব্দীতেও এমন অনেক মন্দির রয়েছে, যা রহস্যে ভরপুর। মেহেন্দিপুর বালাজি এমনই এক রহস্যে ভরা মন্দির। রাজস্থানের দৌসা জেলার কাছে দুটি পাহাড়ের মাঝখানে এই মন্দিরটি অবস্থিত।
দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে আসে ভূত-প্রেত থেকে মুক্তির আবেদন জানাতে। ভূত-প্রেত ও বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এখানে কীর্তন হয়। নেতিবাচক ছায়া বা ভূতের বাধা দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের কীর্তনে দূর করা হয়।
মেহেন্দিপুর বালাজির প্রসাদের রহস্য:
সাধারণত লোকেরা যে কোনও মন্দিরে যায়, প্রসাদ নেয় এবং বাড়িতে নিয়ে আসে। কথিত আছে যে যত বেশি প্রসাদ বিতরণ ও গ্রহণ করে, তত বেশি পুণ্য লাভ হয় তাঁর । কিন্তু মেহেন্দিপুর বালাজি এমনই এক মন্দির, যেখানে নাতো কোনও ধরনের প্রসাদ খেতে পারবেন না তো বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। এখানে বালাজিকে লাড্ডু, প্রেতরাজকে চাল এবং ভৈরবকে বিউলিরডাল দেওয়া হয়।
প্রসাদের পাশাপাশি, এই মন্দির থেকে সাথে কোন খাবার বা অন্যান্য জিনিস নিতে পারবেন না। এর পেছনের রহস্য হল, এমনটা করলে নেতিবাচক বা প্রেত ছায়া পড়তে পারে।
মেহেন্দিপুর বালাজিতে দুধরনের প্রসাদ দেওয়া হয়,:
মেহহেন্দিপুর বালাজিতে দু ধরনের প্রসাদ দেওয়া হয়। একটি অনুরোধ এবং অন্যটি আবেদন। অনুরোধ করা প্রসাদ দুবার কিনতে হয় এবং আবেদন করা প্রসাদ তিন প্লেটে দেওয়া হয়। যদি মেহেন্দিপুর বালাজিতে অনুরোধ করছেন তাহলে অনুরোধ করার সাথে সাথে বেরিয়ে আসতে হবে। আর অন্যদিকে, আবেদন করা প্রসাদ আবেদনকারীকে দেওয়া হয়।সেই প্রসাদ মন্দির থেকে বেরোনোর সময় পেছন ফিরে না তাকিয়ে পেছনে ফেলে দিতে হয়।
মেহেন্দিপুর বালাজি সম্পর্কিত অন্যান্য রহস্য :
মেহেন্দিপুর বালাজির বাম বুকে একটি গর্ত রয়েছে, যেখান থেকে অবিরাম জল প্রবাহিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুসারে একে বালাজির ঘাম বলা হয়।
বালাজির ঠিক সামনেই রয়েছে ভগবান রাম ও মাতা সীতার মূর্তি। মূর্তিগুলির মুখোমুখি হওয়ার রহস্য হল বালাজি সর্বদা রাম-সীতাকে দেখতে থাকেন।
মেহেন্দিপুর বালাজিতে আগত ভক্তদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এখানে আসা ভক্তদের পুরো এক সপ্তাহ রসুন, পেঁয়াজ, আমিষ জাতীয় খাবার এবং অ্যালকোহল পান না খেয়ে আসতে হবে।
No comments:
Post a Comment