বিজেপিতে যোগ সোনালি গুহর
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৫ জুন : এক সময় বাংলার তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত ছিলেন তিনি তিনবারের বিধায়ক হয়েছেন, তবে সোনালি গুহ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী সোনালী গুহকে এবার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের দায়িত্ব দিয়েছে, তিনি এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবেন।
সোনালী গুহকে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য করা হয়েছে। বিজেপির প্রধান দলে না থাকলেও, মহিলা মোর্চার সদস্য হিসাবে সোনালির কাঁধে অনেক দায়িত্ব রয়েছে।
সূত্রের খবর, সোনালী গুহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র সাতগাছিয়ার বিধায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একসময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। স্বভাবতই সোনালী গুহ জানেন তৃণমূলের ভেতরের কাজকর্মের কথা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটিতে সোনালী গুহকে সংগঠন শক্তিশালী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোনালী গুহর দায়িত্ব অনেক বেড়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।সূত্রের খবর, সোনালী গুহকে নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির একাংশ। তাই তিনি মূল দলে জায়গা পাননি। যদিও তিনবার তৃণমূল বিধায়ক হওয়া সোনালী গুহ এই দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন।
তিনবার বিধায়ক হওয়া সোনালী গুহ রাজ্য সরকারের অধীনে রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারও ছিলেন, কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি টিকিট পাননি। এতে বিরক্ত হয়ে তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কয়েক মাস পরে, তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, এই বলে যে তিনি বিজেপিতে কাজ করতে পারবেন না। সেই বার্তাও তিনি পাঠান দলের নেত্রীকে। যদিও কোন লাভ হয়নি।
এরই মধ্যে তিনি নিজেকে বিজেপি থেকেও দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। ফলে প্রায় দুই বছর ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন একসময়ের ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ সোনালী গুহ। এরপর সোনালী গুহ সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, "দিদি তাকে ডাকলেও তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না।" অবশেষে সোনালির অনুরোধ মেনে নিয়ে তাকে দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
No comments:
Post a Comment