ভান্ডারে খাবার কাদের খাওয়া উচিৎ নয়?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন : দানের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল লোকেরা গরীবদের জন্য লঙ্গর বা ভান্ডারের আয়োজন করে, যাতে তারা একবেলা খাবার সহজে পায়। কারণ অন্ন দান সবথেকে বড় দান। সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে যে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়ার চেয়ে বড় পুণ্য আর কিছু নেই। খাবার নিতে শত-হাজার লোক পৌঁছে যায় লঙ্গরে।স্বচ্ছল হওয়ার পরও সুস্বাদু খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ভান্ডারে চলে যায় অনেকে। কারণ লঙ্গরে খাবারের স্বাদই আলাদা। যেখানে শাস্ত্র মতে ভান্ডারের খাবার খেলে পাপ হয়।ভান্ডারের খাবার সবার খাওয়া উচিৎ কি না, চলুন জেনে নেই-
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সেই সমস্ত দরিদ্র লোকদের জন্য লঙ্গরের আয়োজন করা হয়, যারা ঠিকমতো একবেলা খাবারও পান না। এমতাবস্থায় যারা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, তারা যদি লঙ্গরের খাবার খান, তাহলে তাদের ওপর পাপ চড়ে। কারণ যে খাবার খাচ্ছেন তা একজন দরিদ্র মানুষের কিছু সময়ের জন্য ক্ষিদে মেটাতে পারে। কিন্তু লোভের কারণে সেই দরিদ্র মানুষ খাবার পায় না।
বাধ্য হয়ে খেতে হলে কী করবেন:
বাধ্য হয়ে যদি ভান্ডার বা লঙ্গর থেকে খাবার নিতে হয়, তবে দান না করে সেখানে আসা উচিৎ নয়। নিজের কাছে টাকা না থাকলে সেখানে পরিবেশন করেন। গরীবদের খাওয়াতে সাহায্য করুন এবং তাদের বাসনপত্র তুলে সঠিক জায়গায় রাখুন। সামর্থ্য অনুযায়ী দান করে লঙ্গরে সহযোগিতা করুন, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তি যদি লঙ্গর খাবার খান, তাহলে তার জীবনে সমস্যা আসতে শুরু করে। এতে বাড়িতে শুধু অন্নের অভাব নয়, দেবী লক্ষ্মীও বিরক্ত হন। সেজন্য ক্ষমতাবানদের ভান্ডারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ।বন্ধু সুদামা যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভাগের ছোলা খেয়েছিলেন, তখন তাকে দারিদ্র্যের জীবনযাপন করতে হয়েছিল, কারণ তিনি অন্যের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। যদিও এই ভুলটি তার শৈশবে হয়েছিল, কিন্তু তারপরও তাকে এর খারাপ ফল ভোগ করতে হয়েছিল। একইভাবে, অন্য মানুষের খাবার খাওয়া অপরাধ, এতে পাপ হয়, তাই ভুল করেও এমন ভুল করা উচিৎ নয়।
No comments:
Post a Comment