এই কৌশলে আয় বাড়লো চাষীদের
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুন : অন্যান্য রাজ্যের মতো, ঝাড়খণ্ডের কৃষকরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করছেন। এতে কৃষকদের আয় বেড়েছে। বিশেষ বিষয় হল নতুন কৌশলে চাষ করার পর ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ এখন শ্রমিক থেকে কৃষক হয়ে উঠেছেন। এখন তারা তাদের মাঠে অন্যদের কাজ দিচ্ছেন। অথচ আগে এই কৃষকদের নিজেদের মজুরি পেতে দ্বারে দ্বারে হোঁচট খেতে হত। হাজারীবাগ জেলার চার্চু এবং ধরি ব্লকের কৃষকরা পলি হাউসের ভেতরে চাষ করে মানুষের সামনে উদাহরণ তৈরি করেছেন।
NBT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই ব্লকের গ্রামের অনেক কৃষক এখন পলি হাউসের ভেতরে চাষ শুরু করেছেন। এতে এসব কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। অথচ এসব গ্রামের কৃষকরা আগে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি পেতে দ্বারে দ্বারে হোঁচট খেতে হয়েছে। সেই গ্রামবাসীদের মধ্যে রয়েছেন অনিল হেমব্রম এবং মহিলা মুর্মু, যারা ২০১৫ সাল থেকে পলি হাউসের ভেতরে কৃষিকাজ করছেন৷ এটি তাদের জীবন পরিবর্তন করেছে। এখন তারা শ্রমিক নয়, নিজের ক্ষেতে অন্যদের কর্মসংস্থান দিচ্ছেন। এই দুই কৃষকই উদ্যানজাত ফসল বিক্রি করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
অনিল হেমব্রম ও মহিলা মুর্মু জানান, আগেও তারা সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতেন। এ থেকে পর্যাপ্ত আয় হত না, যাতে ঘরের খরচ মেটানো যেত। এমতাবস্থায় তাদেরকে বাজারে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু এখন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের কারণে গ্রামের কৃষকদের জীবনধারা বদলে গেছে। মহিলা মুর্মু বলেন, আগে তারা খোলা জায়গায় চাষাবাদ করতেন, যার কারণে বৃষ্টি, ঝড়, তাপ ও পোকার আক্রমণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। সেচও বেশি করতে হতো। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন বছরে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
অন্যদিকে অনিল হেমব্রম জানান, পলি হাউসে চাষ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার ভাগ্য বদলে যায়। আগে তার গ্রামের কৃষকরা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করতেন। বৃষ্টি হলে চাষিরা চাষাবাদ করত। তবে এখন পলি হাউজের ভেতরে যেকোনও মৌসুমে চাষাবাদ করছি। এছাড়াও গবাদি পশু ফসলের ক্ষতি করছে না। এখানকার কৃষকরা পলি হাউসে লংকা টমেটো, বেগুন, বাঁধাকপিসহ নানা ধরনের সবুজ সবজি চাষ করছেন।
বিশেষ বিষয় হল এই সবই সম্ভব হয়েছে হায়দ্রাবাদের সংস্থা খেতি এবং সিনি টাটা ট্রাস্টের সহায়তায়। সিনি টাটা ট্রাস্টের অভিজিৎ বলেছেন যে ২০১৫ সাল থেকে সংগঠনটি ছোট কৃষকদের আয় বাড়াতে এই পলি হাউস কৌশলটি প্রচার করছে। এ কারণে অনেক কৃষক লাখপতি হয়েছেন। এই সংস্থাটি পুরো ঝাড়খণ্ড জুড়ে ৩৫০ জন কৃষককে গ্রিন হাউস সুবিধা প্রদান করছে।
No comments:
Post a Comment