পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় জন্ম হল বাচ্চার
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ জুন : যখনই বাচ্চাদের কথা বলা হয়, তখন বাবা-মা দুজনের কথা বলা হয়, তা মানুষ হোক বা পশু। নারী ও পুরুষ দুজনের সহযোগিতায় একটি নতুন জীব সৃষ্টি হয়। তবে সম্প্রতি এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে, যা পুরো বিজ্ঞানকে নাড়া দিয়েছে। কীভাবে এমন হল ঘটল তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা হতবাক হয়েছেন?আসলে, একটি স্ত্রী কুমির কোনও পুরুষ কুমিরের সাথে সঙ্গম না করেই ডিম পেরেছে। অর্থাৎ, এই কুমিরটি নিজের মধ্যে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছিল, যার পরে ডিম পাড়ার জন্য তাকে কুমিরের সাথে সঙ্গম করার দরকার পড়েনি।
এই পুরো ব্যাপারটা :
আমেরিকায়, একটি মহিলা কুমিরকে ১৬ বছর ধরে বন্দিদশায় একা রাখা হয়েছিল, সেসময় অর্থাৎ ২০১৮ সালে সে কয়েকটি ডিম পাড়ে। যা দেখে বিস্মিত গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা, কারণ এই ঘটনা প্রথম ঘটল। আসলে, কুমির হল সেই প্রাণী যেগুলোকে ডাইনোসরের বংশধর বলা হয়, সঙ্গম ছাড়াই একটি মাদি কুমিরের ডিম পাড়ার ফলে ডাইনোসর সম্পর্কে আরও অনেক রহস্য উন্মোচিত হতে চলেছে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ভার্জিন বার্থ।
কী হয়েছে ওই ডিমগুলোর:
বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ত্রী কুমিরটি পার্থেনোজেনেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিম পাড়ে। তবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুমির যে ডিম পাড়ে তা সন্তানের জন্ম দেয়নি। পার্থেনোজেনেসিস একটি প্রক্রিয়া, যার অধীনে একটি মহিলা প্রাণী নিজের মধ্যে পুরুষ শুক্রাণু তৈরি করে এবং তারপরে এটি স্ত্রী শুক্রাণুর সাথে মিশে এবং ডিম দেয়। এর আগে টিকটিকি, সাপ, হাঙরসহ ৮০ ধরনের প্রাণীর মধ্যে এই জন্মের প্রক্রিয়া দেখা গেছে।
No comments:
Post a Comment