ই-ফাইলিং কী করতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার!
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৭ জুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সমস্ত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নবান্নের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, 'ই-ফাইলিং' করার ভাবনা চলছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে। আর মাত্র একদিন বাকি। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে।
তবে প্রশ্ন হল রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি সত্যিই সেই পথে চলেছে? যদিও সেই বিষয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই স্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি। একটি সূত্রের মতে, নবান্ন মনে করে যে আইন অনুসারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে কতজন পুলিশ সদস্যের প্রয়োজন হবে এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
রাজ্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজ শেষ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কমিশনে পাঠাবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রাজ্যকে বাইপাস করে হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করছে নবান্ন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আদালত হয়তো রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু কমিশন রাজ্যের সহায়তায় তা করছে। ফলে কমিশনের পক্ষে স্বাধীনভাবে বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ছে কীনা রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এ প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় কমিশনার রাজীব সিনহা সাংবাদিকদের কোনো স্পষ্ট জবাব দেননি। যদিও বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে।
রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি ক্যাভিয়েট দায়ের করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবারের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। ফলে শনিবারই স্পষ্ট পদক্ষেপ আশা করা যায়। এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামীম।
No comments:
Post a Comment