পরেশ রাওয়ালের ব্যক্তিগত জীবন
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ৩০ মে : হেরা ফেরির বাবু ভাইয়া হোক বা ওয়েলকাম-এর ঘুংরু শেঠ বা হাঙ্গামার রাধেশ্যাম তিওয়ারি হোক, চমৎকার কমিক টাইমিং এবং অভিনয়ের জন্য পরিচিত পরেশ রাওয়ালের আজ ৬৮তম জন্মদিন। চলুন জেনে নেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে-
শৈশব থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি পরেশের অনুরাগ এমন ছিল যে মাত্র ৯ বছর বয়সে, তিনি সিনেমা দেখার জন্য টিকিট ছাড়াই প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করেছিলেন।
পরেশ রাওয়ালের জন্ম ৩০শে মে ১৯৫৫ মুম্বাইয়ে। তিনি গুজরাটি মিডিয়াম স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। ছোটবেলা থেকেই পরেশ খুব দুষ্টু ছিল। সহপাঠীদের সঙ্গে নানা দুষ্টুমির গল্প প্রায়ই তার বাড়িতে পৌঁছে যেত। তখন তাঁর বাড়ি ছিল মুম্বাইয়ের পারলা ইস্টে। তাঁর বাড়ির কাছেই ছিল নবীন ভাই ঠক্কর অডিটোরিয়াম। এখানে যখনই কোনো নাটক হতো, পরেশ তার বাড়ি পর্যন্ত তার আওয়াজ শুনতেন। একবার পরেশ সাহস করে সেই থিয়েটারে বিনা টিকিটে নাটক দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে যান। পরেশ নাটকটি দেখার জন্য সাম, দাম, দন্ড, ভেদ সব পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কখনো ধমক আবার কখনো অনুরোধও করেন। যদিও এতো চেষ্টা তাঁর বিফলে যায় নি। তিনি শেষমেষ নাটকটি দেখতে পান।
১৯৭৫ সালে একদিন পরেশ NSD আয়োজিত উৎসবে যান। সেখানে তার চোখ পড়ল শাড়ি পরে একটি মেয়ের দিকে। সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, সেই সময়ে মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জেতা সম্পাত স্বরূপ। কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা তার বন্ধু মহেন্দ্র যোশীকে তিনি বলেন, এই মেয়ে একদিন আমার স্ত্রী হবে। মহেন্দ্র জোশী ওই মেয়েটিকে চিনতেন। তিনি পরেশকে পাগল বলে আখ্যা দিয়ে বলেন যে পরেশ যেখানে কাজ করেন ওই মেয়েটি হল বসের মেয়ে। শুনেও বিশ্বাস হচ্ছিল না পরেশের। তারপর মহেন্দ্র জোশীকে তিনি বললেন, যে আর কেউ না এই মেয়েই আমার স্ত্রী হবে।
পরেশ তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য পরিচিত। এ পর্যন্ত ২৪০টি ছবিতে কাজ করেছেন পরেশ। এর মধ্যে ১০০টি ছবিতেই তিনি খলনায়ক হয়েছেন।
No comments:
Post a Comment