তিন ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর, ২৭ মে : শনিবার সকালে দুর্গাপুরে সিভিক ভলান্টিয়ার মঙ্গল সোরেন (৩৩) ও তাঁর দুই বোনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। মঙ্গল সোরেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন। বোন সুমি সরেন কলকাতায় নার্সের কাজ করতেন। দুই সপ্তাহ আগে বাড়ি এসেছে। বাড়িতে থাকতেন আরেক বোন। বাবা হোপনা সোরেন ইসিএলের প্রাক্তন কর্মচারী।এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানার অন্তর্গত লাউদহরের আদিবাসী এলাকা লস্করবাদে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন সকালে প্রতিবেশীরা পোড়ার গন্ধ পান। এলাকার লোকজন গিয়ে দেখে, তিন ভাই-বোনের সবাই ঘরে পুড়ে গেছে। ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও পুড়ে গেছে। তাঁরা নিজেরাই আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল তা এখনও জানা যায়নি।ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।কী ভাবে আগুন লেগেছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে তাদের মা মারা গেছেন।
এর আগে জানুয়ারিতে বেলঘরিয়ায় তিন ভাইবোনের মরদেহ পাওয়া যায়। বাড়ি থেকে ভাইবোনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশের একটি পুকুর থেকে ভাইয়ের দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানান, পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে অভাব-অনটনে ভুগছিল। মানসিক অবসাদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
গতকাল মালদহের রেলওয়ে কোয়ার্টার থেকে রেলওয়ে কর্মচারী ও তার মেয়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা টাউন ঝালঝালিয়া রেল কলোনি এলাকায়।
শুক্রবার দু’টি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহত রেলকর্মীদের নাম শম্ভুনাথ চৌধুরী ও তার মেয়ে শালি কিরণ। শম্ভুনাথ মালদা রেলস্টেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি পাটনার দানবপুর। গত কয়েকদিন ধরে এ ধরনের ঘটনার জেরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
No comments:
Post a Comment