সিবিআই অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ২০ মে : তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবার সিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার সকালে ইডি-র একটি বড় দল 'কালীঘাটের কাকু' নামে পরিচিত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে হানা দেয়। কালীঘাটের এই কাকুর ফকিরপাড়া রোড, বেহালায় ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গায় হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা।
সম্প্রতি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তবে বোনের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই টাকা রেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও দুবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরে আর হাজির হননি তিনি। পরিবর্তে তিনি আইনজীবীর হাতে নথি পাঠিয়েছিলেন। সুজয় কাকু জানতেন ওই সময় তাঁর কাছ থেকে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেসময় তিনি নিজে না এসে তিনি তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাবের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন যে "অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময়, কুন্তল তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি সুজয়ের সাথে কথা বলেছেন, চিন্তার কিছু নেই।"
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সঙ্গে কুন্তল ঘোষের কালীঘাট 'কাকু'-এর সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন সুজয়। ইডি সূত্রে খবর, এদিন ফের তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।
তবে কুন্তল দাবি করেছেন, তিনি 'কাকু'কে চিনতেন না। যেই সুজয়ের কথা বলা হচ্ছে তিনি 'কালীঘাটের কাকু' নন। তাপস ও কুন্তলের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে রহস্য আরও জটিল হয়েছে। সুজয় নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন তাঁকে 'কালীঘাটের কাকু' বলা হয়, তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। সুজয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার কাছে কোনো টাকা জমা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর। 'কালীঘাটের কাকু' শব্দটা কোথা থেকে এসেছে তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।'
সুজয় দাবি করেছেন যে তাঁর 'সাহেব' তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২০০৯ সাল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করার ক্ষমতা কারোর নেই।
No comments:
Post a Comment