ফায়ার পানের বিশেষত্ব
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৪ মে : আমাদের দেশে পান প্রেমীদের সংখ্যা খুব একটা কম নেই। কেউ কেউ মিষ্টি পান কেউ আবার জর্দা পান খেয়ে থাকেন, কেউ বাসি মুখেই পান খান, কেউ যাই খান, খাওয়ার পর পান মুখে দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে নানা রকমের পান পাওয়া যায়, যার নামও আলাদা।
নবাবদের শহর লখনউয়ে, বিয়েতে পান দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। খাবার ছাড়াও বিয়েতে আলাদা স্টল বসানো হয় যেখানে বিভিন্ন রকমের পান পাওয়া যায়। আজকাল ফায়ার প্যান বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। দিল্লি হোক বা মুম্বই বা যে কোনও বড় শহর, এই ফায়ার পান আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। এই পানের বিশেষত্ত্ব হল এই পানটি আগুনে জ্বালিয়ে সরাসরি গ্রাহকের মুখে দেওয়া হয়। ফায়ার পান দেখে মনের মধ্যে প্রায়ই অনেক প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায় যে ফায়ার পানে তো আগুন রয়েছে, তবে এটি মুখে দিলেই কি মুখ পুড়ে যায়? এটি কোথায় পাওয়া যায় এবং এর দাম কত? কীভাবে এই পানে আগুন ধরানো হয়? চলুন এর মজার উত্তর জেনে নেই-
ফায়ার পানের দাম:
ফায়ার পান বেশ জনপ্রিয়। এই পান প্রায় সব বড় শহরে পাওয়া যায়। এর দাম সম্পর্কে কথা বললে, এই ফায়ার প্যানটি অনেক জায়গায় ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যায়, আবার অনেক জায়গায় এটি ২০০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যায়। এই পান খেলেই কয়েক মিনিটেই তা শেষ হয়ে যায়।
ফায়ার পানে আগুন ধরা:
ফায়ার পান গত ১০-১৫ বছর ধরে এসেছে। এই পানে যা কিছু উপাদান রাখা হয় তার সাথে থাকে লবঙ্গ, শুকনো ফল, বাদাম এবং মিশ্রী মেশানো হয়। যদি এই মিশ্রণটি লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, এটি শিখা ধরে এবং অবিলম্বে এটি গ্রাহকের মুখে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কেন মুখে পোড়ে না:
লবঙ্গ, শুকনো ফল, বাদাম এবং মিশ্রী দেওয়া এই পানে দেওয়া হয়। এই মিশ্রণে আগুন মাত্র ২বা ৩সেকেন্ডের জন্য থাকে । আগুনের শিখা ধরার সাথে সাথে পান মুখে রাখা হয়, এমন সময় এই শিখা নিভে যায়। সহজ কথায় বলা যায়, এই পানে মুখের ভেতরে দিলে আগুন ধরে না। তার আগেই নিভে যায়।
No comments:
Post a Comment