অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের ওপর হামলার ঘটনায়, হেফাজতে ৪
নিজস্ব প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম, ২৭ মে : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। শুক্রবার রাতে শালবনিতে প্রবেশের সময় এই হামলা হয়।হত্যার চেষ্টার জন্য দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারার অধীনে একটি মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা জামিন অযোগ্য। অন্যদিকে মন্ত্রী বীরবাহ হাঁসদার তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে মামলা দায়ের করে পুলিশ।গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও বীরবাহা হাঁসদা গাড়ির চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নবান্ন ঘটনার রিপোর্ট করতে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপারকে তলব করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই বিক্ষোভের পেছনে কারা আছে তা না বললে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ঝাড়গ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছে। শনিবার মোট চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শালবনির কুদমি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় আহত হয়েছেন মন্ত্রীর গাড়িচালক বীরবাহ হাঁসদা। তার গাড়ি সহ কনভয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।
এ দিন বীরবাহ হাঁসদা হুমকি দিয়ে বলেন, “এটা কোনো আদিবাসী আন্দোলন নয়। কারণ উপজাতীয় রাজনীতি তেমন নোংরা নয়। আমরা জাতপাতের রাজনীতিও করেছি। আমরা এখনো কুদমি সম্প্রদায়কে অপমান করিনি।"
তিনি বলেন, আসলে যা হচ্ছে তা নোংরা রাজনীতি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করব। আমরা এর উত্তর চাই। কুদমী সম্প্রদায়ের কোনো নেতাকে রেহাই দেব না। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় শালবনি পৌঁছানোর আগেই কুদমি সম্প্রদায়ের লোকেরা ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে।
অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ তাদের ধরতে পারেনি। এ সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আসার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে আন্দোলনকারীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে ছুটে চলা গাড়িগুলিতে হামলার খবর পাওয়া যায়। অভিষেকের গাড়ির কোনো ক্ষতি না হলেও বীরবাহ হাঁসদার গাড়িতে হামলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment