নরখাদক গ্রেফতার
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ মে : চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে রাজস্থানের পালিতে। এখানে এক বৃদ্ধ মহিলাকে খুন করে তার মাংস খাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বয়স ২৪ বছর। পালিতে এক ব্যক্তির নরখাদক হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।হত্যাকারীর নাম সুরেন্দ্র ঠাকুর, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। আর ওই বৃদ্ধারও পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তার বয়স ছিল ৬৫ বছর।
আসলে ওই ব্যক্তি মারাত্মক অসুখ হয়েছে। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত হাইড্রোফোবিয়ায় ভুগছিলেন। আর তিনি জলাতঙ্ক সংক্রমণের শেষ পর্যায় পার করছেন। এই পর্যায়টি আসার সময়, রোগী নরখাদকের মতো আচরণ করতে শুরু করে।
চিকিৎসকের ধারণা, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অবশ্যই একটি পাগল কুকুর কামড় দিয়েছে এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেনি। এ কারণেই আজ তার অবস্থা নরখাদকের মতো হয়েছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
হাইড্রোফোবিয়া :
কুকুরের মতো প্রাণীর কামড় বা নখ দিয়ে আঁচড় দিলে এই রোগ হয়। তবে পোষা কুকুরের কামড়ে এ রোগ হয় না। রাস্তায় ঘোরাফেরা করা কুকুরের কামড় বা কাঁচা মাংস খেলে এ রোগ হয়। যদি একটি উন্মত্ত কুকুর কামড়ায়, তবে রোগটি আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
পাগলা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হয়। শুরুতে কোনও চিকিৎসা না হলে ব্যক্তিটি নরখাদক হয়ে যায়। তার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এতে অপরকে বোঝার বা ক্ষমা করার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, কুকুর ছাড়াও বাদুড় ও শেয়ালের কামড়েও হাইড্রোফোবিয়া হয়।
হাইড্রোফোবিয়ার লক্ষণগুলি কী কী:
জলাতঙ্ক ভাইরাস প্রায়ই এক থেকে তিন মাসের মধ্যে সুপ্ত থাকে। এর পর তার উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের মধ্যে আগ্রাসন বা বিরক্তি বেড়ে যায়। চেতনায় উত্থান-পতন আছে। মুখ থেকে ফেনা আসতে থাকে। একবার এটি ঘটলে, অবিলম্বে চিকিৎসা করা উচিৎ।
হাইড্রোফোবিয়া গলায় তীব্র খিঁচুনি সৃষ্টি করে। এতে রোগীর জল পান করতে খুব কষ্ট হয়। এটি সংক্রামিত প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকদের অভিমত, নখ দিয়ে কোনো প্রাণী কামড়ালে বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নিন।
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগ সারাজীবন থাকে। চিকিৎসা ও পরিচর্যায় রোগী নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু চিকিৎসা না পেলে নরখাদক হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment