সাপের অজানা ইতিহাস

 

সাপের অজানা ইতিহাস

মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৪ এপ্রিল : সাপ এমন একটি প্রাণী, যাকে প্রায় প্রতিটি প্রাণীই ভয় পায় ।  ভয় পাওয়াটাও স্বাভাবিক।  এটি এমন একটি প্রাণী যা মাটিতে ভর দিয়ে চলে। সাপের ওপর পা রাখলেই বিপদ নিশ্চিত সেই ব্যক্তির।  যদিও সব সাপই বিষাক্ত নয়।বিশ্বে প্রায় ৩০০০ আনুমানিক প্রজাতির সাপ আছে, তবে প্রায় ২০০ প্রজাতিই এমন রয়েছে , যারা বিষাক্ত,  এর পরেও আমরা সব সাপকেই বিষধর মনে করি।

একজন মানুষকে মেরে ফেলার মতো বিষ সব ধরনের সাপের মধ্যে নেই।   বিষাক্ত হওয়ার পাশাপাশি এদের আকৃতি ও গঠনও হয় ভয়ের কারণ।  কিছু সাপ অজগরের মতো বিশাল, কারো দুটি মুখ।  আজ আমরা এমনই একটি সাপের কথা জেনে নেব যা কেঁচোর মতো দেখতে। কারণ, এই সাপটি কেঁচো নয় কিন্তু এর মতোই সরু ও ছোট। চলুন জেনে নেই সেই সাপ সম্পর্কে-

 কেঁচো সাপ:

এই সাপটি 'ব্লাইন্ড স্নেক' নামে পরিচিত।  এই সাপের পুরো নাম 'ব্রাহ্মণী ব্লাইন্ড স্নেক'।  বিজ্ঞানে একে Indotyphlops braminus বলা হয়।  এই সাপটির নড়াচড়া ও রঙ হুবহু কেঁচোর মতো।

 দেখা যাবে পার্থক্য :

 খুব কাছ থেকে দেখলে, এর শরীরে ছোট ছোট ডোরাকাটা দাগ দৃশ্যমান হবে, যা কেঁচোর থেকে আলাদা।  এর লেজ সূঁচযুক্ত।  এর মাথার কাছে দুটি ছোট বিন্দু রয়েছে।  তাদের চোখের উপর একটি আচ্ছাদন আছে, যে, Indotyphlops braminius সাপ প্রায় অন্ধ।  তারা কিছুই দেখে না, আলোও জানে না।

 এই সাপ কতটা বিপজ্জনক:

   অন্ধ সাপ মোটেও বিষাক্ত নয়।  এরা সাধারণত লার্ভা, ডিম এবং পিঁপড়ে খায়।  এই সাপগুলি বেশিরভাগ আফ্রিকা এবং এশিয়ায় পাওয়া যায়।  বিশেষ বিষয় হল এরা শুধুমাত্র মহিলা এবং একাই সন্তান জন্ম দিতে পারে।  এরা একবারে ৮টি ডিম পাড়তে পারে।