বিয়ে নিয়ে অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে এই সমাজের
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৯এপ্রিল : একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে আজও রয়ে গেছে কুসংস্কার। পৃথিবীতে এই কুসংস্কারের অবসান হয়নি। দেশ ও বিশ্বে এমন শত শত লোক আছে যারা বিভিন্ন কুসংস্কারে বিশ্বাসী । এমনই এক কুসংস্কারের ঘটনা সামনে এসেছে ওড়িশা থেকে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত -
ওড়িশার বালাসোরে, দুষ্ট আত্মাদের হাত থেকে এড়াতে দুই নাবালক শিশুকে বিপথগামী কুকুরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। তপন সিংহের ছেলে দারি সিং, যার বয়স মাত্র ১১ বছর, একটি মাদি কুকুরের সাথে বিয়ে হয়েছিল। আর ৭ বছর বয়সী লক্ষ্মী একটি পুরুষ কুকুরকে বিয়ে করেছিলেন। ওড়িশাতে 'সিং' বান্দশাহি গ্রামের 'হো' আদিবাসীদের মধ্যে একই রকম ঐতিহ্য রয়েছে।
বিপদ এড়াতে এই রীতি:
হো' আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করে যে শিশুদের জন্য তাদের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত ওঠা অশুভ। আর তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের সন্তানদের কুকুরের সাথে বিয়ে দেয়।
এ নিয়ে গ্রামের ২৮ বছর বয়সী স্নাতক সাগর সিং বলেছেন যে সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য অনুসারে দুই শিশুকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চলে বিয়ের আনুষ্ঠানিক নিয়ম। সাগর বলেন,এই সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে 'বিয়ের' পরে যা কিছু ঘটুক না কেন, তা শিশুর থেকে কুকুরের কাছে চলে যাবে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, কিন্তু এই বিশ্বাস বহুদিন ধরে চলে আসছে এবং এই কুসংস্কার রয়ে গেছে সমাজে।
আগে ঘটেছে:
এর আগেও কুকুরের সঙ্গে বাচ্চাদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে বালাসোর থেকে। কয়েকদিন আগে, মাছুয়া সিংয়ের ছয় বছরের ছেলে এবং মানশ সিংয়ের পাঁচ বছরের মেয়ের প্রথম চোয়ালের উপরের অংশে একটি দাঁত বের হয়েছিল। তার পরেও এই দুই নাবালিক শিশুকে কুকুরের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment