বৈশাখ মাসের এই অমাবস্যা দূর করবে সমস্যা
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৯ এপ্রিল : বৈশাখ মাসে পড়া এই প্রথম অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সাতভাই অমাবস্যা নামেও পরিচিত। সনাতন ঐতিহ্যে, এই তারিখটি স্নান, দান এবং বিশেষ পূজোর জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক বলে বিবেচিত হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অমাবস্যা তিথি মূলত পূর্বপুরুষদের পূজোর জন্য পরিচিত, যেমন শ্রাদ্ধ ও তর্পণ ইত্যাদি। বৈশাখ অমাবস্যা শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রেও তাৎপর্যপূর্ণ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিলে রাশি সংক্রান্ত সমস্ত বড় দোষ থেকে মুক্তি পায়। চলুন জেনে নেই সেই প্রতিকার-
কালসর্প দোষের সঠিক প্রতিকার:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে বৈশাখ মাসের অমাবস্যার দিন ১১টি নারকেল মাথায় ঘুরিয়ে প্রবাহিত জলে ফেলে দিতে হবে। একইভাবে, অমাবস্যার দিনে, জল তীর্থে গিয়ে রৌপ্যরে নাগ নাগিনের পূজো করে প্রবাহিত জলে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৈশাখ অমাবস্যার দিনে, যদি কোনও যোগ্য পুরোহিতের মাধ্যমে কালসর্প যোগ যন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে রোজ পূজো করা হয়। তবে ব্যক্তি রাশিফলের এই দোষ থেকে রক্ষা পান।
পিতৃদোষের প্রতিকার:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি পিতৃদোষ রাশিতে সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে ওঠে, তাহলে বৈশাখ মাসের অমাবস্যার দিন পিপল গাছের সঙ্গে দুধ ও জল মিশিয়ে নিবেদন করা উচিৎ। এর পাশাপাশি এই দিনে সাত ধরনের শস্য দান করতে হবে কোনও অভাবী ব্যক্তিকে। যদি এটি করতে সক্ষম না হন তবে অন্তত এই তিথিতে পূর্বপুরুষদের ছবি দক্ষিণ দিকে রেখে ফুল ও ভোগ নিবেদন করা উচিৎ। এর পরে, নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
শনি দোষের নিখুঁত প্রতিকার:
যদি কুন্ডলীতে শনি সংক্রান্ত কোন প্রকার দোষ থেকে থাকে তবে সেই সংক্রান্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বৈশাখ মাসের অমাবস্যার দিনে শনি মন্দিরে গিয়ে শনির প্রতিমায় সর্ষের তেল অর্পণ করুন এবং শনির উদ্দেশ্যে আটার তৈরি ৪টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করুন। অন্তত একটি মন্ত্র জপ করুন। এর সাথে বৈশাখ অমাবস্যার দিনে কালো কাপড়, কালো কম্বল, কালো ছাতা ইত্যাদি দান করুন কোনও অভাবী ব্যক্তিকে।
No comments:
Post a Comment