সন্তান যদি নেতিবাচক হয়ে ওঠে, কী করণীয় তখন
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৪ এপ্রিল : বাবা মার কাছে তাঁর সন্তানই সব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় সন্তান অন্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। বা তার আচরণ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বড়দের কথা শুনছে না। তখন বাবা মার চিন্তা বাড়ে বই কী? আমরা জানি চারা গাছ লাগালে তার সঠিক যত্নের দরকার নইলে তা বড় গাছ হয়ে উঠতে পারে না। সন্তানরাও ঠিক তেমনই। সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিলে তবেই সে ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারবে। আর ভালো মানুষ হওয়ার পেছনে বাবা মারই হাত থাকে বেশী।
এসময় বাবা মাকে বুদ্ধিমানের সাথে কাজ করতে হবে। কারণ শিশুর এই অভ্যাস তাকে কারো সাথে মিশতে দেয় না এবং একা থাকার কারণে তার ভেতরে নেতিবাচকতা ভর করে এবং মানসিক রোগও হতে পারে। তাই সময়মতো তাদের এই অভ্যাস পরিবর্তন করতে সাহায্য করা উচিৎ, অন্যথায় বড় হওয়ার পরেও তাদের আচরণ এমনই থেকে যাবে এবং এটি তাদের জীবনের জন্য ঠিক নয়। সন্তানের এই আচরণ কীভাবে বদলানো যাবে চলুন জেনে নেই-
ভাল ব্যবহার দরকার:
সন্তান যখন রাগান্বিত হয়, অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে, তখন এর সহজ অর্থ হল সন্তানের সাথে তার অভিভাবকদের আচরণ ঠিক নয়। তাই ছোট ছোট ভুলের জন্য বাচ্চাকে তিরস্কার করা উচিৎ নয়। বাবা মার উচিৎ তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা। এমনকি যদি কোনও কারণে শিশু কোনও ভুল করে, তাহলে তাকে বুঝিয়ে বলুন যে সে যে ভুল করেছে তাতে কী ক্ষতি হতে পারে। এতে তার রাগ শান্ত হবে এবং তার আচরণও ভালো হবে।
শাস্তি দেওয়া :
যদি তার প্রতিটি ভুলের জন্য শাস্তি দেন, তবে এমন কাজ করবে না, কারণ এটি সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়। শাস্তি সন্তানকে সাহসী করে তুলতে পারে। বারবার তাকে শাস্তি দিলে সে ভুল করতে থাকবে। সে তখন বুঝতে পারে না অন্যের সাথে কেমন আচরণ করবে?
বাচ্চাকে অপমান করা :
অনেক সময় অভিভাবকরা সন্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অন্যদের সামনে অপমান করে বসে। এমন করা উচিৎ নয়। কখনো কারও সামনে সন্তানকে অপমান করবেন না। বাড়িতে কেউ এসে থাকলে ভুল করেও সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারণ বারবার এই ধরনের অপমান সন্তানকে রাগে ভরে দেয় এবং সে আক্রমণাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। এই কারণে, তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না এবং সে খারাপ ব্যবহার শুরু করে।
হতাশ করা :
বাবা মারা সন্তানের প্রথম চিয়ার লিডার। তাই তাদের উচিৎ সবসময় তাদের সন্তানকে অনুপ্রাণিত করা। অভিভাবকরা নিজেরাই তাদের মনোবল না বাড়ালে কে করবে তাদের সন্তানের জন্য? তাই ছোট ছোট বিষয়ে সন্তানের উৎসাহ বাড়ান। তাদের মনোবল কমানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি তাদের মনকে হতাশা দিয়ে পূর্ণ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment