যে কোনও শুভ কাজের আগে বা পূজোর সময় পান লাগে। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় দেবতারা পান ব্যবহার করতেন। এ কারণেই পূজোয় পানের ব্যবহার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। পান পাতার এমনই কিছু প্রতিকার জানাব, যা জীবনে ধন, সুখ, সমৃদ্ধি, সাফল্য, উন্নতি এবং শান্তি নিয়ে আসতে পারে-
প্রথম কৌশল:
মঙ্গলবার বা শনিবার হনুমানকে বিশেষ পান নিবেদন করুন। এদিন তেল, বেসন ও বিউলির ডালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হনুমানের মূর্তিকে পবিত্র করে তেল ও ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে যথাযথভাবে পূজোর পর মালপুয়া, মিষ্টি ইত্যাদি নিবেদন করুন। এরপর ২৭টি পান এবং গুলকন্দ, মৌরি ইত্যাদি নিয়ে হনুমানকে নিবেদন করুন। পান বানানোর সময় খেয়াল রাখবেন এতে যেন চুন ও সুপরি না থাকে।
নিয়ম মেনে হনুমানের পূজো করার পর এই পান হনুমানকে নিবেদন করুন এবং একই সঙ্গে প্রার্থনা করার সময় বলুন, 'হে হনুমানজী, আমি আপনাকে মিষ্টি রসে ভরা এই পানটি নিবেদন করছি। এই মিষ্টি পানের মতো, তুমি আমার জীবনকেও রসালো করো, মাধুর্যে ভরে দাও।
দ্বিতীয় কৌশল:
পান দান: তাম্বুল মানে পান পান। পান দান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তৃতীয় কৌশল:
নজর দোষ : পান পাতা নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি বাড়ায় বলে মনে করা হয়।
চতুর্থ কৌশল:
ভগবান শিবকে বিশেষ পান নিবেদন করুন: খুব কম লোকই জানেন যে শিবকেও পান দেওয়া হয়। ভগবান শিবকে একটি বিশেষ পান নিবেদন করা হলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। মহাদেবের পূজোর পর নৈবেদ্যের পর তাকে পান অর্পণ করুন।
পঞ্চম কৌশল:
যদি মনে হয় কেউ তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠান করে দোকান বেঁধে দিয়েছে, তাহলে শনিবার সকালে পাঁচটি পিপল পাতা এবং ৮টি পান নিয়ে একটি সুতোয় বেঁধে দোকানে পূর্ব দিকে বেঁধে দিন। কমপক্ষে পাঁচটি শনিবার এটি করুন। নদীতে বা কূপে পুরনো পাতা ভাসিয়ে দিন।
সপ্তম কৌশল:
বন্ধ হয়ে যাওয়া কাজ শুরু হবে: যদি রবিবার পানের পাতা নিয়ে বাড়ির বাইরে যান, তাহলে সমস্ত বন্ধ কাজ শেষ হতে শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment