মহা ধ্বংসের তথ্য দিচ্ছে এই ঘড়ি, কী বলছে জেনে নিন
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৪ এপ্রিল : জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই কারণে, সারা বিশ্বের কোটি কোটি প্রাণ অনিয়মিত আবহাওয়ার ধরণ এবং অন্যান্য জলবায়ু সংক্রান্ত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণে সময় ফুরিয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে এর ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাবে। যদিও আমরা সময় দেখার জন্য একটি ঘড়ি ব্যবহার করি, কিন্তু এমন একটি ঘড়ি রয়েছে যা মহা ধ্বংসের তথ্য দেয়। এই ঘড়িটির নাম ক্লাইমেট ক্লক। চলুন জেনে নেই এই ক্লাইমেট ক্লক সম্পর্কে-
পৃথিবী দিবস উপলক্ষে চালু করা হয়:
পৃথিবী দিবস উপলক্ষে, দেশের সৌর মানব ডঃ চেতন সোলাঙ্কি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই ঘড়িটি চালু করেছেন। এই ঘড়িই বলে দিচ্ছে মাত্র ৬ বছরে ৯০ দিন ২২ ঘণ্টায় কীভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি বাড়বে?
এর বিশেষত্ব কী:
সোলার ম্যান ডঃ চেতন সোলাঙ্কি বলেছেন যে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ সম্পর্কে অবগত নয়। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নামে জনজীবনে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। সেজন্য এই বিপদ আসতে কতটা সময় বাকি আছে তা জানা জরুরি, সেই কারণেই এই ক্লাইমেট ক্লক চালু করা হয়েছে।
২০৩০ সালে কি হবে:
সারা বিশ্বে ঘটছে গবেষণা ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা খুব দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বাড়বে ১.৫ ডিগ্রি। এটা ঘটলে আমাদের ওপর এর খুব বিপরীত প্রভাব পড়বে। এই পরিবর্তন তার সাথে অনেক বড় পরিবর্তন আনবে।
জলবায়ু ঘড়ি কি করে:
ডঃ সোলাঙ্কি বলেছিলেন যে জলবায়ু ঘড়ি আমাদের মনে করিয়ে দেবে যে বৈশ্বিক উষ্ণতায় পৌঁছতে কতটা সময় বাকি। সে অনুযায়ী মাত্র ৬ বছরে ৯০ দিন ২২ ঘণ্টায় পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে পরিবেশ ও পৃথিবীর মানুষের জীবনে। ২০৩৯ সালে নির্ধারিত সময়ের পরে এই ঘড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।
মানুষকে সচেতন করা:
ডঃ সোলাঙ্কি প্রায় তিন বছর ধরে পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment