আতিক-আশরাফের শত্রু এবার পুলিশের নজরে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ এপ্রিল : প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও মাফিয়া আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ হত্যা মামলার তদন্ত করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট হয়েছে তিন খুনিই কন্ট্রাক্ট কিলার। এরপর কারা আতিক আহমেদ ও আশরাফকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আতিক-আশরাফ হত্যায় লাভবান হতে পারে এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই পুলিশের টার্গেট। আসলে আতিক হত্যার কারণ নিয়ে বেরিয়ে আসছে ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ। আতিক ও আশরাফের কালো সাম্রাজ্য তাদের হত্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, আতিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্মাতা ও বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নির্বাচনী কর আদায় করতেন। এর জন্য দুই ধরনের স্লিপ ব্যবহার করা হত। একটি স্লিপ ছিল গোলাপী এবং অন্য স্লিপ ছিল সাদা। গোলাপি স্লিপের রেট ছিল ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা , সাদা স্লিপের রেট ছিল ৫ লক্ষের ওপরে। ব্যবসায়ী ও বিল্ডারদের কাছ থেকে নগদ টাকা নেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়। এই টাকা ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রে আতিকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হত, যেই অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ইডি সিল করে রেখেছে। এ ছাড়া আতিক গুন্ডাও কর আদায় করতেন।
সূত্র জানায়, আতিক আহমেদ গুন্ডা যেসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কর আদায় করতেন তারা আতিককে ঘৃণা করতেন। কিন্তু মাফিয়াদের ভয়ে কেউ তাকে টাকা দিতেও অস্বীকার করতে পারেনি।
এরপর সূত্র দাবি করছে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার এক হীরা ব্যবসায়ীর সঙ্গে আতিকের শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার আগে দুজনেই বন্ধু ছিল। আতিক তার কোটি কোটি টাকার কালো টাকা এই হীরা ব্যবসায়ীর কাছে বিনিয়োগ করলেও হিসাব নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং তারপর থেকে দুজনেই একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়।
আতিক হত্যার পর পুলিশের টার্গেটেও এসেছেন এই ব্যবসায়ী। এ ছাড়া পুলিশ বিল্ডার ও বড় ব্যবসায়ীদেরও তাদের রাডারে নিচ্ছে, যাদের কাছ থেকে আতিক নির্বাচন কর বা গুন্ডা ট্যাক্স আদায় করত বা এই দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে কোটি কোটি টাকা লাভবান হতে পারে।
No comments:
Post a Comment