বহু পুরোনো এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ ইতিহাস
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২২ এপ্রিল : বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানির মতো দেশে যায়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্ব থেকে আসতো এদেশে শিক্ষা নিতে। শিক্ষা থেকে শুরু করে আরও অনেক বিষয়ে আমাদের দেশকে বলা হতো জগৎগুরু। কিন্তু আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিছু হানাদারের কারণে তাদের অস্তিত্ব হারিয়েছে। আসুন জেনে নেই দেশের সেরা ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত-
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বৈদিক শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও অধ্যয়ন ও গবেষণা করা হত।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়:
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গণ্য করা হয়। এটি স্থাপিত হয়েছিল ৪৫০-৪৭০ খ্রিস্টাব্দে, সেই সময়ে শুধু দেশ থেকে নয়, জাপান, চীন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে তিন শতাধিক ক্লাস হতো বলে জানা যায়।
যেখানে সে সময় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী একসঙ্গে লেখাপড়া করত। এখানে একটি ৯ তলা লাইব্রেরিও ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সহজ ছিল না। সে সময় এখানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হত। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হতো। সাহিত্য, জ্যোতিষ, মনোবিজ্ঞান, আইন, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত, স্থপতির মতো সব বিষয় এখানে পড়ানো হত।
তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়:
তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র দেশে নয় বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। সারা বিশ্ব আজও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে চেনে। তবে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর এই বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানে চলে যায়। কিন্তু প্রায় ২৭ হাজার বছরের পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসতেন সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়ুর্বেদ, নীতিশাস্ত্রের মতো বিষয় পড়ানো হত।
বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়:
নালন্দা ও তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে নাম আসে, তাহলে তা কেবল বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয় বিহারে অবস্থিত। এখানেও অন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন। আজও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো বর্তমান। এটি এখন একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য।
No comments:
Post a Comment