পাকিস্তানের মুদ্রা নিয়ে মজার তথ্য
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২২ এপ্রিল : বিশ্বের প্রতিটি নোটে কোনো না কোনো ছবি থাকে, হোক সেটা কোনো ব্যক্তির বা দেশের কোনো বিখ্যাত স্থানের। পাকিস্তানের নোটে কায়েদে আজম জিন্নাহ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাহাড়ের ছবি কেন থাকে? চলুন জেনে নেই-
পাকিস্তানের মুদ্রায় দেশের অনেক বিখ্যাত স্থানের ছবি ছাপা হয়েছে। পাকিস্তানের ১০০০ হাজারের নোটে ইসলামিয়া কলেজ পেশোয়ারের ছবি রয়েছে। পাকিস্তানের ৫০০ টাকার নোটে লাহোরের বাদশাহি মসজিদের ছবি রয়েছে।
নিরাপত্তার দিক থেকে পাকিস্তানের নোট খুবই শক্তিশালী। একই সঙ্গে ১০ টাকার নোটে ছাপা হয়েছে পেশোয়ারের বাব-ই-খাইবার পাসের ছবি।
আজ পাকিস্তানি রুপির বিপরীতে এক ডলারের দাম ২৮০। ২০ টাকার মুদ্রায় রয়েছে মহেঞ্জোদরোর ছবি। পাকিস্তানের ১০০ টাকার নোটে জাইরাত রেসিডেন্সির ছবি রয়েছে, যা কায়েদ-ই-আজম আলী জিন্নাহর বাড়ি নামেও পরিচিত। পাকিস্তানের ৫০০০ টাকার নোটে ইসলামাবাদের ফয়সাল মসজিদের ছবি ছাপা হয়েছে।
পাকিস্তানের ৫০ টাকার নোটে k২ পর্বতের ছবি ছাপা হয়েছে। এই সুন্দর জায়গাটি পাক-চীন সীমান্তের কাছে গিলগিট বাল্টিস্তানে অবস্থিত।
১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ রাজের বিলুপ্তির পর পাকিস্তানি রুপি পাকিস্তানে প্রচলন করা হয়। প্রাথমিকভাবে, পাকিস্তান ব্রিটিশ ভারতীয় মুদ্রা এবং পাকিস্তান দিয়ে ওভার-স্ট্যাম্পযুক্ত নোট ব্যবহার করত। ১৯৪৮ সালে নতুন কয়েন এবং ব্যাঙ্কনোট জারি করা হয়েছিল। ভারতীয় রুপির মতো এটিও মূলত ১৬ আনায় বিভক্ত ছিল, প্রতিটি ৪ পিস বা ১২ পাই। ১লা জানুয়ারী ১৯৬১-এ মুদ্রাটিকে দশমিক করা হয়, রুপীকে ১০০পিসে বিভক্ত করে, একই বছরের পরে নামকরণ করা হয় পয়সা। ১৯৯৪ সাল থেকে পয়সা মূল্যের মুদ্রা জারি করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment