প্রতি বছর ১৮ই এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক ভবন, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। জানেন কী আমাদের দেশে ৪০টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে যা ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত। এই দিনটি উদযাপন শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। চলুন দেশের ৫5টি বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্থান সম্পর্কে জেনে নেই-
মহীশূর প্রাসাদ:
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মহীশূর প্রাসাদটি কর্ণাটকের বিখ্যাত শহর মহীশূরে অবস্থিত, যা ১৮৯৭ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। সংস্কৃতিকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার জন্য এটি সেরা জায়গা। এটি আমবা প্রাসাদ নামেও পরিচিত। এর স্থাপত্যশৈলী এবং সুন্দর বাগানও এটিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান করে তুলেছে।
গোয়ালিয়র দুর্গ:
মধ্যপ্রদেশে অনেক পর্যটন স্পট আছে, তবে এখানে অবস্থিত গোয়ালিয়র ফোর্ট বিশেষ। এই দুর্গটি তার আশ্চর্যজনক স্থাপত্য এবং অনন্য ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিক গুরুত্বের পাশাপাশি এর সৌন্দর্যও মানুষকে আকর্ষণ করে।
ফতেপুর সিক্রি:
এটি উত্তর প্রদেশের আগ্রার কাছে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, যার ইতিহাস মুঘল শাসক আকবরের সাথে যুক্ত। এতে কাজ করেছেন ইসলামী, পারস্য ও ভারতীয় স্থপতিরা। বিখ্যাত পর্যটন স্পট বুলন্দ দরওয়াজা এবং জামে মসজিদও এর কাছাকাছি রয়েছে।
তাজমহল, আগ্রা:
তাজমহল, দেশের গর্ব এবং বিশ্বের অন্যতম বিস্ময়, ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তৈরি করেছিলেন। এর সৌন্দর্য সারা বিশ্বের মানুষকে এর জন্য পাগল করে তোলে। এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেও পরিচিত।
হাম্পি:
হাম্পি দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত একটি গ্রাম যা একটি ঐতিহাসিক শহর হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি কর্ণাটকের একটি গ্রাম যা এদেশের সংস্কৃতিকে সেরা উপায়ে উপস্থাপন করে। যদি দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তবে অবশ্যই এই ঐতিহাসিক গ্রামটি দেখতে হবে।
No comments:
Post a Comment