গত বছর বিধ্বংসী বন্যা হয় পাকিস্তানে। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে সিন্ধুর প্রায় ২০,০০০জন পাবলিক স্কুল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, যার কারণে লক্ষাধিক শিশুর লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিন্ধুতে বন্যার কারণে প্রাদেশিক সরকার শিক্ষা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। স্কুল মেরামতের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের কিছু আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল। এতদসত্ত্বেও, প্রাদেশিক বা ফেডারেল সরকার কর্তৃক বিদ্যালয়গুলিকে পুনর্বাসনের জন্য করা প্রচেষ্টার কোন ফল পাওয়া যায়নি।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার লক্ষ লক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন ও নিঃস্ব নাগরিকদের নিজেদের ভরণপোষণের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। নিত্যদিনের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত এসব দরিদ্র পরিবারের মানুষ। একই সঙ্গে পড়ালেখা বন্ধ থাকায় মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে শিশুদের ওপর। পরিবারের সদস্যরা সন্তানদের লেখাপড়া সম্পন্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই শিশুদের তাড়াতাড়ি এবং আবার স্কুলে পড়া শুরু করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। দীর্ঘস্থায়ী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রাদেশিক এবং ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে খুব কমই কোনো জরুরিতা বা প্রস্তুতি রয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ধু প্রদেশে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র শিশু রয়েছে, যা ৫২ শতাংশ, যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ মেয়ে স্কুলে যায় না।
No comments:
Post a Comment