শরীরের ছোট-বড় প্রতিটি সমস্যারই কোনো না কোনো কারণ থাকে। এসব সমস্যাকে উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। অনেক সময় আমরা আমাদের শরীরের যে কোনও অংশে ব্যথা অনুভব করি। যদিও অনেক সময় আমরা মনে করি যে এই ব্যথাটি সামান্য। তবে বারবার বারবার এমন করলে সমস্যা বাড়ে এবং রোগে রূপ নেয়।
আসুন জেনে নেই শরীরের কোন অংশে ব্যথার কারণ কী হতে পারে এবং কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ-
পায়ে ব্যথা :
যারা জিম ওয়ার্কআউট বা ভারী ব্যায়াম করেন তারা প্রায়ই পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা কিছু সময় পরে নিজেই চলে যায়। যদি এটি বেশ কয়েক দিন পরেও না যায় তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।
যদি জিম ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম না করেও পায়ে ব্যথা হয়, তাহলে এই সমস্যাটিকে একেবারেই উপেক্ষা করবেন না। কারণ এটি স্নায়ুর কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে বা কোনো অভ্যন্তরীণ আঘাত হতে পারে। মনে রাখতে হবে শরীরের কোনো অংশে একটানা ব্যথা হওয়া এবং দীর্ঘ সময় পরও তা লেগে থাকা ভালো লক্ষণ নয়।
চোখের ব্যথা :
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপে কাজ করার কারণে অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। যেহেতু মোবাইল এবং ল্যাপটপ থেকে নির্গত রশ্মি চোখকে প্রভাবিত করে, তাই তাদের মধ্যে ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে। সাধারণত ক্লান্তি ও দীর্ঘক্ষণ পর্দার সামনে বসে থাকার কারণে চোখে ব্যথা হতে পারে। তবে যদি মোবাইল, ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মতো জিনিসগুলি থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও চোখে ব্যথা থাকে, অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। কারণ এটি শরীরে কিছু সমস্যা তৈরি হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
তীব্র মাথাব্যথার কারণ :
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, অন্ত্র এবং মস্তিষ্কের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। অতএব, মাথাব্যথা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে ব্যাঘাত নির্দেশ করতে পারে। তবে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের সমস্যার কারণে সবসময় মাথাব্যথা হয় এমন নয়।
মাথাব্যথার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, মোবাইল, টিভি বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানো, দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া, সময়মতো না খাওয়া, বেশি কাজ করা, মাইগ্রেন ইত্যাদি। যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত মাথাব্যথা হয় তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরীক্ষা করান।
No comments:
Post a Comment