কাপিং থেরাপি এটি একটি চাইনিজ থেরাপি। এটি শরীরে স্বস্তি আনার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। এই থেরাপিতে, কাপে ভ্যাকুয়াম তৈরি করা হয় এবং কিছু সময়ের জন্য শরীরে প্রয়োগ করা হয়। ১৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রাচীন মিশরীয় চিকিৎসা গ্রন্থে কাপিং থেরাপির উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু এই থেরাপিটি তিব্বত, কোরিয়া, চীন এবং ইউনানেও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
কাপিং থেরাপি হল বিকল্প ওষুধের একটি রূপ, যেখানে একটি ভ্যাকুয়াম কাপ ত্বকে প্রয়োগ করা হয়, যা ত্বককে ভিতরের দিকে টানে। বর্তমানে কাপিং থেরাপির প্রচুর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই এর সম্পর্কে-
কাপিং থেরাপি কীভাবে কাজ করে:
ছোট এবং প্রায়শই গরম কাপগুলি শরীরের যে অংশটি চিকিৎসার প্রয়োজন তা ঠিক করতে ব্যবহৃত হয়। এই থেরাপির জন্য, একটি গ্লাস কাপ ব্যবহার করে ভ্যাকুয়াম তৈরি করা হয়, যাতে কাপটি শরীরে লেগে থাকে। এর জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়। কাপিং করার তিন থেকে পাঁচ মিনিটের পরে, দূষিত রক্ত জমাট বাঁধে। শরীর থেকে জমে থাকা নোংরা রক্ত বের হয়ে যায়।
কাপিং থেরাপি কত প্রকার:
ফায়ার কাপিং:
এই থেরাপির মাধ্যমে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। এতে একটি তুলোর বলে অ্যালকোহল রেখে তাতে আগুন দেওয়া হয়। এরপর এই আগুনের ধোঁয়া কাপের ভেতরে রেখে কাপটি পিঠে ও কাঁধে লাগিয়ে দেওয়া হয়, এতে ত্বক ভেতর থেকে প্রসারিত হয়।
ড্রাই কাপিং:
এতে, একটি খালি কাপ ত্বকে এমন কৌশলে স্থাপন করা হয় যে কাপের ভিতরে একটি ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ার কারণে, শরীরের নোংরা রক্ত কাপের জায়গায় জমা হয়, যা একটি ছেদ তৈরি করে অপসারণ করা হয়।
ভেজা কাপিং:
এতে কাপটিকে কিছু বিশেষ তেলে ডুবিয়ে কিছু আকুপ্রেসার পয়েন্টে রাখা হয়। ত্বক টানটান হওয়ার কারণে মাংসপেশির ব্যথাও ধীরে ধীরে কমে যায়।
কাপিং এর সুবিধা:
কাপিং থেরাপিতে ত্বক অনেক উপকার পায়। এতে ব্রণ ও পিম্পলের সমস্যা দূর হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে ত্বকও মেরামত করা হয়। ক্রমাগত এই থেরাপি গ্রহণ করলে ত্বক অনেক টানটান ও সুন্দর হয়। এটি মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment