জানেন কী ভগবান গণেশ এক-দন্ত কীভাবে হন?
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৩ এপ্রিল : এবার পরশুরাম জয়ন্তী পড়েছিল ২২ শে শনিবার। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান পরশুরামকে বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনটি পরশুরামের জন্মবার্ষিকী হিসাবে পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান পরশুরাম ছিলেন মহর্ষি জমদগ্নি ও রেণুকার পুত্র।
এই দিনে কোনও অভাবী ব্যক্তিকে দান করলে শুভ ফল লাভ পাওয়া যায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই কলিযুগে ভগবান পরশুরামও রয়েছেন। তাকে অত্যন্ত পরাক্রমশালী, পণ্ডিত এবং শক্তিশালী বলে মনে করা হয় যিনি অনেক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন।
ভগবান পরশুরাম ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী। পরশুরাম শ্রী গণেশের সাথে যুদ্ধ করে তার একটি হাতির দাঁত ভেঙ্গে ফেলেন এবং সেই কারণেই গণেশকে এক-দন্ত বলা হয়।
স্বভাব:
ভগবান পরশুরাম ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে তিনি স্বভাবগতভাবে খুব উগ্র এবং রাগী ছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পিতামাতার অপমানের প্রতিশোধ নিতে, পরশুরাম ২১ বার ক্ষত্রিয়দের হত্যা করেছিলেন এবং সমগ্র পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়দের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। বাবার নির্দেশেই তিনি তার মাকে হত্যা করেন বলেও ধারণা করা হয়। পরে ভগবান পরশুরামের মা বাবার বর পেয়ে আবার জীবিত হন।
ভগবান পরশুরামের আসল নাম :
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান পরশুরামের জন্মের পর তাঁর পিতামাতা তাঁর নাম রাখেন রাম। এটা বিশ্বাস করা হয় যে পরশুরাম ভগবান শিবের প্রবল ভক্ত ছিলেন এবং তিনি সর্বদা তাঁর তপস্যায় মগ্ন থাকতেন। তার তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব তাকে কুঠার সহ অন্যান্য অস্ত্র দেন। কুঠারকে পরশুও বলা হয়, তাই তার নাম হয় পরশুরাম।
No comments:
Post a Comment