ঘামের দুর্গন্ধ এড়ানোর উপায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল : ঘাম একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত ঘাম হয় বিশেষ করে গরম কালে। কারণ এ সময় শরীর প্রতিনিয়ত বাহ্যিক তাপমাত্রার সাথে নিজেকে সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করে, যার ফলে শরীরে সঞ্চিত তরল ত্বকের ছিদ্র দিয়ে ঘামের আকারে বেরিয়ে আসে। এই ঘামের ধুলো ত্বকের মৃত কোষের সাথে মিশে গেলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ আসতে শুরু করে। তবে কিছু লোকের শরীর থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ হয় এবং এর কারণে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। কেন এমন দুর্গন্ধ হয়, চলুন জেনে নেই-
শরীরে দুর্গন্ধ কেন হয় :
যাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেন, কখনও কখনও তাঁদেরও শরীর থেকে দুর্গন্ধের সম্মুখীন হতে হয়। কারণ হল -
প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ এবং রসুন খাওয়া
শরীরে হরমোনের পরিবর্তন
কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা
হজম ভালো না হওয়া
দীর্ঘমেয়াদী ড্রাগ ব্যবহার
কীভাবে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে :
দিনে দুবার স্নান করুন। একবার সকালে এবং একবার রাতে ঘুমনোর আগে। রোদ থেকে আসার পর ঘাম শুকিয়ে গেলে হাত, পা-মুখ ধুয়ে কাপড় বদলাতে হবে।
সবসময় সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন। খাবারে পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া কমিয়ে দিন। বিশেষ করে কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুনের চাটনি ইত্যাদি কম খান।
হাইড্রেশনের যত্ন নিন। যারা জল কম পান করেন, তাদের শরীরেও গন্ধ বেশি হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার শরীরে পেস্ট লাগান। এই পেস্ট মুলতানি মাটির পাশাপাশি নিমেরও হতে পারে। এই পেস্ট দিয়ে আন্ডারআর্ম এবং গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন। অবাঞ্ছিত চুল পরিষ্কার করুন এবং স্বাস্থ্যবিধিতে মনোযোগ দিন।
রাতে ঘুমনোর আগে জামাকাপড় পরিবর্তন করতে ভুলবেন না, দিনে পরা কাপড় রাতে পরে ঘুমবেন না। রাতে সুতি এবং ঢিলেঢালা কাপড় পড়া উচিৎ । যাতে শরীর সম্পূর্ণ বাতাস পায় এবং ত্বক নির্বিঘ্নে শ্বাস নিতে পারে।
খাবারের পর অবশ্যই মৌরি ও মিছরি খেতে হবে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ রোধ করতে।সাথে গোলাপ জলের স্প্রে এবং ভিজে ওয়াইপস রাখুন। প্রয়োজনে ত্বক পরিষ্কার করুন।
আন্ডারআর্ম থেকে খুব বেশি দুর্গন্ধ হলে ডিও এবং হালকা পারফিউম ব্যবহার করুন। পরিবহনে হাত তুলে দাঁড়ানো এড়িয়ে চলুন।
প্রতিদিন ১ গ্লাস বাটার মিল্ক, ১ বাটি দই, ১ নারকেল জল এবং একটি লেবু জল পান করুন। প্রতিদিন ফল ও ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করুন। এটি করা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হজম সংশোধন করতে সহায়তা করবে।
মেডিটেশন করুন। কারণ যারা অনেক মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাদেরও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে শরীরের দুর্গন্ধের সম্মুখীন হতে হয়।
No comments:
Post a Comment