গরমে হিট স্ট্রোকের আশংকা বেড়ে যায়। গরমে হাইড্রেশনের সমস্যা হবে। এটি হয় কারণ লোকেরা সাধারণত পানীয় জল পান করা কমিয়ে দেয়, এমন অবস্থায় শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। এই অবস্থাকে ডিহাইড্রেশন বলা হয়। প্রখর রোদে থাকা এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
জল পান করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে :
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিট স্ট্রোকে জলের প্রভাব সম্পর্কে লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৫ গ্লাস জল পান করেন। এটি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫৩ শতাংশ কমে। হিট স্ট্রোক হলেও এর লক্ষণ খুব একটা গুরুতর নয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে:
জনস হপকিন্স হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরাও হিট স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি এক প্রতিবেদনে বলেন, স্ট্রোকের রোগীর জলের অভাবে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়। ডিহাইড্রেশন রক্তনালীতে এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি রক্ত সরবরাহকে প্রভাবিত করে। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থাকে। এসব বিপদ এড়াতে জল পান করে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি।
শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে:
যদি কম জল পান করা হয় এবং বেশি পরিমাণে শরীর থেকে বের হতে থাকে তাহলে এই অবস্থা খুবই গুরুতর। হাইপোভোলেমিক শকের সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও এই অবস্থা মারাত্মক হয়ে ওঠে। রক্তচাপ কমার সাথে সাথে অক্সিজেনের মাত্রা খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে। অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়।
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি:
এ সময় কম জল পান করার কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি খুবই সাধারণ বলে মনে করা হয়। জল শূন্যতার কারণে এই অবস্থা হয়। কিছু লোক ব্যায়াম করার পরে জল পান করেন না, যখন প্রচুর ঘাম হয়। তাদের জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বমি, নিম্ন রক্তচাপ, অস্থিরতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
কিডনি সমস্যা:
যদি দীর্ঘ সময় ধরে কম জল পান করেন তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা হতে পারে। কিডনি ফেইলিওরও এর একটি বড় কারণ। কিডনি সুস্থ রাখতে সঠিকভাবে জল পান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment