জল পানের নিয়ম
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২২ এপ্রিল : গরম হোক বা শীত, প্রতিটি ঋতুতেই প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিৎ। কারণ শরীরে জলের প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করার কারণে অনেক রোগও দূর হতে পারে। এ কারণেই সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর জল পান করাও খুবই জরুরি। অনেককে প্রায়ই ভুল উপায়ে জল পান করে থাকে। যদি ভুল উপায়ে জল পান করেন, তাহলে উপকার পাওয়া সম্ভব না। আসুন জেনে নেই জল পান করার সঠিক উপায় কী -
জল পান করবেন:
জলের সমৃদ্ধ উপকারিতা পেতে প্রথমে মুখে এক চুমুক জল নিন। তারপর এটি মুখে রেখে পান করুন। এভাবে জল পান করলে মুখের ভেতরে লালা তৈরি হয় এবং এই লালা জলে মিশে যায়। লালা যেমন খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে, ঠিক একইভাবে এটি তরল পদার্থ হজম করতেও কার্যকর। যেকোনও আবহাওয়ায় সকালে ঠাণ্ডা জল পান করা উচিৎ নয়। সর্বদা হালকা গরম জল দিয়ে দিন শুরু করা উচিৎ। এছাড়াও, সর্বদা ব্যায়াম করার সাথে সাথে জল পান করা এড়িয়ে চলুন।
জলের তাপমাত্রা কি হওয়া উচিৎ :
অত্যধিক গরম জল স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর এবং খুব ঠান্ডা জলও। যদি হালকা গরম জল পান করতে একেবারেই পছন্দ না করেন তবে মাটির কলসিতে রাখা জল পান করুন বা ঘরের তাপমাত্রায় রাখা জল পান করতে পারেন। খুব বেশি ঠান্ডা জল একেবারেই পান করবেন না। কারণ এতে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
খাবার খাওয়ার সময় কতটুকু জল পান করবেন:
খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা এক ঘণ্টা পর জল পান করুন। যদিও খাওয়ার সময় জল পানের কোনও মারাত্মক পরিণতি নেই, তবে খাওয়ার সময় বেশি জল পান করা সবসময় এড়িয়ে চলা উচিৎ, কারণ এটি অ্যাসিডিটি এবং অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি খাওয়ার সময় জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে এক গ্লাস জল একবারে শেষ না করে কয়েক বার খাবার খাওয়ার পর চুমুক দিয়ে জল পান করুন।
প্লাস্টিকের বোতলে জল পান করা উচিৎ নয়। কারণ প্লাস্টিকের মধ্যে মাইক্রো ফাইবার থাকে, যা জলে মিশে গেলে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
প্রতিদিন কতটা জল পান করা উচিৎ :
প্রত্যেক ব্যক্তির দৈনিক ১ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিৎ। যদি প্রস্রাব হলুদ হয়ে আসছে, তাহলে প্রচুর জল পান করতে হবে। আর শরীর ডিহাইড্রেটেড এবং প্রস্রাব যদি সাদা রঙের হয়ে আসে তাহলে তার মানে শরীর ভালো পরিমাণে জল পাচ্ছে বুঝতে হবে।
No comments:
Post a Comment