মানবদেহে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত জল রয়েছে। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেন। এই পরামর্শটি দেখায় যে মানবদেহের জন্য জল কতটা মূল্যবান? শীতকালে ঘাম বা অন্য উপায়ে জল শরীর থেকে বের হয় না। তাই এসময় কম জল পান করা হয়।
অন্যদিকে গরমে দিনের বেলায় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর জল বের হয়ে যায়। এছাড়া প্রস্রাব করার পরও জল বের হয়। এ সময় কম জল পান করলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। আসুন জানার চেষ্টা করি শরীরে জলের অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে-
জলের অভাবে এই সমস্যা হয়-
মাথাব্যথা হওয়া:
শরীরে জলের অভাব হলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতে পারে। এটি মাইগ্রেনও হতে পারে। বেশিক্ষণ জল শূন্য থাকা উচিৎ নয়।
প্রস্রাব গাঢ় হওয়া:
গরমে অনেকের প্রস্রাব কালচে হয়ে যায়। এটি একটি ইঙ্গিত যে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বর্ণের হতে দেখা যায়। এ সময় বেশি করে জল পান করতে হবে।
ক্লান্ত হওয়া :
কম জল পান ক্লান্তির কারণ হতে পারে। শরীর জল শূন্য হলে ক্লান্ত বোধ করা স্বাভাবিক । এ সময় পানীয় জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
শুকনো মুখ:
গরমে শুষ্ক মুখের সমস্যা দেখা যায়। মুখ থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে লালা কাজ করে। মুখ শুষ্ক হয়ে গেলে মুখে খারাপ ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ক্ষতি হতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা:
জল কম পানে শরীরে এর প্রভাব দেখা যায়। ত্বক শুষ্ক থাকে। র্যাশও হয়।তাই বেশি করে জল পান করা শুরু করা ভালো।
পেট খারাপ:
ডিহাইড্রেশনের বড় প্রভাব পেটে দেখা যায়। এতে পরিপাকতন্ত্রে ব্যাঘাত ঘটে। জলের অভাবে অন্ত্র শুকিয়ে যেতে পারে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment