গরমে ডায়েট যত বেশি স্বাস্থ্যকর হবে, তত বেশী সুস্থ থাকবেন। এই মৌসুমে জল সমৃদ্ধ জিনিস বেশি করে খাওয়া উচিৎ। এর মধ্যে শসা অন্যতম। গরমে শসা খাওয়া খুবই উপকারী। কেউ কেউ একে স্যালাড বানিয়ে খায়, আবার কেউ কেউ এর থেকে রাইতাও তৈরি করে। অনেকে আবার শসার সবজিও তৈরি করে থাকেন। জলখাবার হিসেবেও শসা ব্যবহার করা হয়। আসুন জেনে নেই শসা খাওয়ার আশ্চর্যজনক উপকারিতা-
শসার মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। শসা সম্পূর্ণ চর্বিমুক্ত। এতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। শসার মধ্যে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এতে ৯৬% পর্যন্ত জল রয়েছে। গ্রীষ্মের ঋতুতে এটি হাইড্রেশনের জন্য সেরা বলে মনে করা হয়। যদি প্রতিদিন শসা খান তাহলে আপনি পুরোপুরি ফিট থাকবেন।
উপকারিতা:
শসাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, তাই আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে, র্যাডিকেলগুলি ক্যান্সার, হার্ট, ফুসফুস এবং অটোইমিউন রোগ সহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।এটি খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে জল প্রয়োজন। শসা খেলে প্রতিদিনের চাহিদার ৪০ শতাংশ জল পান এখান থেকে হয়ে যায়। এটি হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীরে কখনই জলের অভাব হতে দেয় না।
ওজন দ্রুত বাড়ছে তবে শসা খান। এতে ক্যালরি খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং চর্বি একেবারেই পাওয়া যায় না। শসা খেলে ওজন কমে এবং ফিট রাখে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি জল ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়।
অনেক গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে যদি নিয়মিত শসা খাওয়া হয় তবে তা রক্তে শর্করা কমাতে পারে। এতে হাই সুগারের সমস্যা শেষ হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা শসা খেতে পারেন।
শসা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়। এটি খেলে মলত্যাগ ভালো হয়। শসায় জল ও ফাইবারের পরিমাণ যথেষ্ট। এতে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের শসা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment