বসন্ত পঞ্চমীর দিন প্রতি বছর মহারাষ্ট্রের পন্ধরপুরে ভগবান বিঠল ও মা রুক্মিণী শুভ বিবাহের রীতি পালন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এই বিয়ে হয়।
এ বছর এক ভক্ত প্রায় দু কোটি টাকার সোনার অলঙ্কার পন্ধরপুরের ভগবান বিঠলের চরণে নিবেদন করেছেন। পন্ধরপুর মন্দির কমিটির ইতিহাসে এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দান বলা হচ্ছে।
পন্ধরপুরের ভগবান বিঠলের চরণে উৎসর্গ করা এই ১.২৫ কোটির গহনায় রয়েছে ভগবান বিঠল ও মা রুক্মিণীর সোনার মুকুট, বিঠল ও রুক্মিণীর গলার হার, মাতা রুক্মিণীর নেকলেস, ব্রেসলেট, মঙ্গলসূত্রের মতো সোনার অলঙ্কার। এগুলি ছাড়াও রৌপ্য থালা, বাটি, বাসন, তামার পাত্র, ল্যাম্পপোস্ট, রৌপ্য আয়না প্রভৃতি জিনিসও অনুদানের সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত। মহারাষ্ট্রের জালনার এক মহিলা ভক্ত তার নাম গোপন রাখার শর্তে ভগবানের চরণে এই মহান দান নিবেদন করেছেন।
মন্দির কমিটির আয়োজনে এই অনুদানের তথ্য দেন বালাজি পুদালওয়াদ। গত পঞ্চাশ বছরে পন্ধরপুরের এটিই সবচেয়ে বড় দান। ভগবান বিঠল ও মাতা রুক্মিণীর বিয়েতে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ সিল্কের পোশাকের অর্ডারও দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে ভগবান বিঠল ও মা রুক্মিণীর বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবার।
No comments:
Post a Comment