উত্তরপ্রদেশের উন্নাও এ অনেক সিদ্ধপীঠ রয়েছে। ত্রেতাযুগে এখানে অনেক সিদ্ধপীঠ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কুশাহরি দেবী মন্দির উন্নাও সদর দফতর থেকে লখনউয়ের দিকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সীতা মার পুত্র কুশের নামে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়। এই মন্দিরের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
প্রতিদিন শত শত লোক এই মন্দিরে যান। কথিত আছে যে এখানে মাকে দেখলেই সকল দুঃখ, বেদনা, ভয় দূর হয়। দুর্গা কুশারী মন্দিরের পাশে পুকুর রয়েছে মাছ এবং কচ্ছপ। দর্শনার্থীরা মাছ ও কচ্ছপকেও খাবার খাওয়ান।
উন্নাও সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং নবাবগঞ্জ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে কুসুম্ভী রোডে অবস্থিত মা কুশারী দেবীর মন্দিরটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং বিখ্যাত।
কুশারী দেবীর মন্দির ত্রেতাযুগের। বলা হয় মা সীতাকে যখন ভগবান রাম নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। তখন ভাই লক্ষ্মণ সীতা মাকে উন্নাও হয়ে বাল্মীকির আশ্রমে নিয়ে যান। পথে সীতা মার পিপাসা পেলে লক্ষ্মণ একটি কুয়া থেকে জল নিয়ে আসেন। তখন লক্ষ্মণ কূপ থেকে আওয়াজ পান কেউ বলছে 'আমাদের কুয়ো থেকে বের কর'। এরপরে মায়ের মূর্তি দেখে বের করে আনেন।
লক্ষ্মণ কূপে সেই মায়ের মূর্তি বের করে ঢিবির উপর বটগাছের কাছে রেখে সীতা মাকে ঋষি বাল্মীকির আশ্রমের কাছে রেখে যান। এরপরে মা দুই পুত্র লব আর কুশকে বড়ো করে তোলেন। যখন লব আর কুশ অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া আটকান, এরপরের ঘটনা আমাদের জানা, মা সীতা রাম কে দেখে ছেলেদের বলেন, রামই হলেন তাদের পিতা।
রাম লব আর কুশ যখন অযোধ্যার দিকে ফিরছিলেন তখন সীতা জানান যে লক্ষ্মণ এখানে একটি মূর্তি রেখেছিলেন। অতঃপর লব কুশ পূজো করে মার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন, যার পড়ে নামানুসারে এই ধামের নাম হয় কুশরী।
No comments:
Post a Comment